গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র
বারবার বদলাচ্ছে পাহাড়ের সমীকরণ। কদিন আগে পর্যন্ত তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী জোটের কথা বলেও সম্প্রতি বিমলপন্থী মোর্চার সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থনের কথা বলেছেন জিএনএলএফ নেতা মন ঘিসিং। এই ঘটনায় মনকে খোঁচা দিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেব।
এ দিন শিলিগুড়িতে ভোটের প্রচারে প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি সভায় গৌতম পাহাড়ের সমীকরণ নিয়ে খোঁচা দেন মন ঘিসিংকে। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম জমানার পরে সুবাস ঘিসিং বাইচুংয়ের সমর্থনে তৃণমূলের সঙ্গেই ছিলেন। বিমল গুরুংরা পাহাড়ে সুবাসের স্ত্রীর শেষকৃত্য করতে পর্যন্ত দেননি। মাত্র অল্প কয়েক বছরে মন এটা ভুললেন কী ভাবে?’’ তাঁর দাবি, পাহাড়ে বিমলপন্থী মোর্চা ও জিএনএলএফের সমঝোতা ভোটের ফলে কোনও প্রভাব ফেলবে না।
যদিও জিএনএলএফ নেতা মন ঘিসিং বলেন, ‘‘রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা মিত্র বলে কিছু হয় না। পাহাড়ের মানুষের আওয়াজকে মান্যতা দিয়েই আমরা জোট করেছি।’’
গৌতমের দাবি, দার্জিলিংয়ের সাংসদ গত ৫ বছর পাহাড়ে যাননি। সমতলেও দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ‘‘কী বলে ভোট চাইবে বিজেপি? বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ম করে পাহাড়ে গিয়েছেন। উন্নয়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছেন।’’ তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি আগে প্রার্থী ঠিক করুক। তা না হলে তো ঠিক জমছে না।
এ দিন সভা থেকে অশোকবাবুকে শিলিগুড়ির ‘নব হো চি মিন’ বলে সম্বোধন করে গৌতম বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি বিধানসভা এলাকায় সিপিএম লিড নিয়ে দেখাক। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট তো গেল, সিপিএমের সর্বসম্মত প্রার্থীর সমীকরণও টিকল না।’’ একইসঙ্গে সমতলে কংগ্রেসকেও চ্যালেঞ্জ করেন গৌতম। তাঁর দাবি, ‘‘মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। সেটাতেও এই লোকসভা নির্বাচনে লিড নিয়ে দেখাক ওরা।’’ পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অশোকও। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতার নেতাদের সামনেই তিনি দার্জিলিঙে জিততে না পারায় হতাশা প্রকাশ করছেন। আর এদিকে হুমকি দিচ্ছেন। এ বারও তিনি জিততে পারবেন না। তিনি রাজনৈতিক বনবাসের প্রস্তুতি নিন।’’ শঙ্কর মালাকারও পাল্টা কটাক্ষ করেছে গৌতম দেবকে। তাঁর কথায়, ‘‘গৌতম দেব এত আত্মবিশ্বাসী যে পুলিশ আর দলের লোকজন দিয়ে ভোটই করতে দেবেন না। তাই এসব বলছেন। ভোট হলে আমরাই জিতব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy