—ফাইল চিত্র।
শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসায় না থেকে, তৃণমূলকে রুখতে দলীয় কর্মীদের এ বার পথে নামতে বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের সাঁজোয়ালে মান-অভিমানে ‘বসে যাওয়া’ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ফের বৈঠক করেন। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘মানুষই ঠিক করে নেবে কী ভাবে ভোট দেবে। আমার মনে হয় এখানে যখন নির্বাচন হবে তৃণমূলের সেই ক্ষমতা থাকবে না যে তাঁরা ভোট লুট করবে। মানুষই তা হলে প্রতিরোধ করবে।”
এত দিন নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা বলে দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু প্রথম দফার নির্বাচনের দিনই তাঁর মুখে শোনা গেল ‘প্রতিরোধে’র কথা। কিন্তু কেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, “কমিশনের কাছে হয়তো এত নিরাপত্তা বাহিনী নেই। কিন্তু আমরা চাইছি গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসুক। গণতন্ত্রকে নিজেরাই সুনিশ্চিত করুক।” কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী পর্যাপ্ত নয়, কর্মিসভায় তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর কথায়, ‘‘দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সব জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পুরোপুরি তোলা যায়নি। এখনও আমরা বলে যাচ্ছি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার জন্য। তবে বারবার বাইরে থেকে বাহিনী এনে ভোট করতে হবে এটাও তো ঠিক নয়।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সব শুনে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির কটাক্ষ, “কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক আর না থাকুক, তৃণমূল জিতবে। এটা বুঝতে পেরে দিলীপ ঘোষ হতাশা থেকে উল্টো কথা বলছেন। মানুষ যে আমাদের সঙ্গে রয়েছে, সেটা ১২ মে-ই তিনি টের পাবেন।’’ খড়্গপুর সদরের বিধায়কের অবশ্য দাবি, মানুষের সমর্থন তাঁর দিকেই থাকবে।
দিলীপ এ দিন সকালে রেলশহরে কংগ্রেসের দখলে থাকা ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে হেঁটে প্রচার করেন। দিন কয়েক আগে এই ওয়ার্ডেই হেঁটে প্রচার করে গিয়েছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। সে দিনই দলের দুই গোষ্ঠীর ওয়ার্ড নেতা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ায় ‘অস্বস্তি’তে পড়তে হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থীকে। এ দিন কর্মিসভায় সে প্রসঙ্গ চেনে দিলীপ বলেন, ‘‘প্রার্থীর সামনেই ওদের নেতারা কলার ধরে টানাটানি করছে। এ সব দেখে মানুষ আমাদের ভোট দেবে বলে ঠিক করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy