সংঘর্ষের পর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। নিজস্ব চিত্র।
লকডাউন, করোনা আতঙ্কের মধ্যেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সোদপুর। রবিবার দুপুরে তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে এলাকা দখলের লড়াই ঘিরে চলল গুলি-বোমা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে র্যাফ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই সোদপুরের বিটি রোড লাগোয়া স্বদেশি মোড় এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ছোটোখাটো গণ্ডগোলের ঘটনা চলছিল। শুধু স্বদেশি মোড় নয়, পানিহাটি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড, আগরপাড়ার তেঁতুলতলা এলাকাতেও তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে অশান্তি লেগেই রয়েছে।
সেরকমই রাজনৈতিক অশান্তি এ দিন বড় আকার নেয় স্বদেশি মোড় এলাকায়। স্থানীয় বিজেপি নেতা রূপেশ সিংহের অভিযোগ, এ দিন দুপুরে প্রায় ৩০-৪০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী হামলা চালায় তাঁর উপর। রূপেশ বিজেপির পশ্চিম পানিহাটি মন্ডলের নেতা। তাঁর অভিযোগ, পরিতোষ নামে এক স্থানীয় দুষ্কৃতী সশস্ত্র অবস্থায় দলবল নিয়ে হামলা চালায়। তাঁদের আটকাতে গেলে চার রাউন্ড গুলি চালায় এবং এলোপাথাড়ি বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। রাকেশের অভিযোগ, ‘‘ সোদপুর গীর্জা এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা ছিল এ দিনের হামলায় এবং তার নেতৃত্ব দিয়েছেন ওই এলাকার তৃণমূল নেতা এবং প্রোমোটার মুন্না যাদব।”
আরও পড়ুন: ভাড়া বাড়ছে না বলে বেসরকারি বাস-মিনিবাস পথে নামার আপাতত সম্ভাবনা নেই
রাকেশ সিংহ নামে অন্য এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিচ্ছিল। এ দিন তারা এলাকায় গুলি চালিয়ে বোমা মেরে আতঙ্ক তৈরি করেছে।”
সঙ্ঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকার বিধায়ক এবং তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগণার শীর্ষ নেতা নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘ সমস্ত অশান্তির পিছনে রয়েছে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাহিনী। গত এক মাসে চার বার এই এলাকায় এসেছেন অর্জুন সিংহ এবং গন্ডগোলে ইন্ধন দিয়ে গিয়েছেন।” নির্মল ঘোষের অভিযোগ, বিজেপি পেশিশক্তি ব্যবহার করে এলাকাদখল করার চেষ্টা করছে। তিনি এ দিন পাল্টা অভিযোগ করেন যে বিজেপির সশস্ত্র বাহিনীই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করেছে। নির্মল ঘোষ দাবি করেন, ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লের দলবলও ওই অশান্তির সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিল আমপান, এগোচ্ছে সাগরদ্বীপ অভিমুখে
এ দিন গুলি-বোমার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ফাঁকা গুলির খোলও।এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছেন, ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পুলিশ কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy