—ফাইল চিত্র।
জমি-জট মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতে চান কাওয়াখালির অনিচ্ছুক জমি মালিকরা। মঙ্গলবার বিকেলে আলোচনায় বসেছিলেন তাঁরা। সেই আলোচনা শেষে থিকনিকাটা-কাওয়াখালি ল্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মণিমোহন বিশ্বাস বলেন, ‘‘জমি বিক্রির স্বাধীনতা না পেলে আমরা ফের আন্দোলন শুরু করব। মুখ্যমন্ত্রী বলার পরেও অযথাই প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ৭ জনের জমি ফেরত দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে বাধ্য হয়ে আমাদের আদালতে যেতে হবে।’’
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যায় থাকতে পারেন। সেখানে আদিবাসীদের সমস্যা নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তখনই তাঁর সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা তুলে ধরতে চান কাওয়াখালির জমি মালিকরা।
যে এলাকায় জমি নেওয়া হয়েছিল, সেটা বাদ দিয়ে অন্য এলাকায় জমি দেওয়া হয়েছে অনিচ্ছুক জমি মালিকদের। ফলে চার জন মালিককে তাঁদের বাড়ি-ঘর ভেঙে বরাদ্দ জমিতে চলে যেতে হবে। ওই বাড়িগুলির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন জমি মালিকরা। ক্ষতিপূরণ না পেলে জমি ছাড়বেন না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। জমি ফেরতের দাবিতে এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দু’বার দেখা করেছেন কাওয়াখালির অনিচ্ছুক জমি মালিকরা। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ) সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি মালিক হিসেবে দাবি করা ৭ জনের কাগজপত্র নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় প্রশাসনিক স্তরে শুনানি হচ্ছে।
এসজেডিএ-র মুখ্য কার্যনির্বাহি আধিকারিক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘সরকারের জমি নীতি অনুসারেই লিজে জমি ফেরত দেওয়া হয়েছে। কয়েক জনের জমির মালিকানা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। কেউ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতেই পারেন। শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিদের নির্দেশ মতোই কাজ হচ্ছে। যদি বাড়ি ভাঙা সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তা হলে আমরা সেটা দিয়ে দেব।’’
এসজেডিএ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ফিরে গেলেই কাওয়াখালির জমি সমস্যা নিয়ে জমিদাতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সংস্থার কর্তারা। ওই জমি নিয়ে নতুন করে মামলা আটকাতে তৎপর হয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার জমি মালিকদের কয়েক জনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এসজেডিএ-র কর্তারা। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে একটি মামলা করেছেন অনিচ্ছুক জমিদাতা শ্যামলাল আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘সরকার জবরদস্তি করতে চাইলে আরও মামলা হবে। যে ভাবে আমাদের জমি নেওয়া হয়েছে, সে ভাবেই জমি ফেরত চাই।’’ মণিমোহন বলেন, ‘‘যাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারি, সে জন্য প্রশাসনের কাছে মৌখিক আবেদন করেছি। আজ বুধবার লিখিত আবেদন করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy