সোমবার দুপুরে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘রাজভবন অভিযান’। শামিল সাধারণ মানুষও। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও পৌঁছে গিয়েছেন রাজভবনের সামনে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের ৫-৭ জনের প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি জমা দিতে যেতে পারেন রাজভবনে। পরে জানা যায়, ১১ জনের প্রতিনিধিদল রাজভবনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজভবনের সামনে পৌঁছে গিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল। এখনও পর্যন্ত যা খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের ৫-৭ জনের প্রতিনিধিদল ভিতরে যেতে পারেন স্মারকলিপি জমা দিতে। এর আগে জুনিয়র ডাক্তারেরা ইমেল করেছিলেন রাজ্যপালকে। কিন্তু তার কোনও জবাব এখনও তাঁরা পাননি। সেই কারণে রাজভবনে গিয়ে নিজেদের বক্তব্যকে স্মারকলিপি আকারে দিয়ে আসতে চান জুনিয়র ডাক্তারেরা।
জুনিয়র ডাক্তারের মিছিলের জন্য রাজভবনের সামনে পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। মোতায়েন রয়েছেন প্রচুর পুলিশকর্মী। ব্যারিকেড করে ঘিরে রাখা হয়েছে রাজভবনের গেট।
রাজভবনের দিকে এগোচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল। প্রস্তুত পুলিশও। পুলিশের একটি দল রাজভবনের দিকে এগোচ্ছে। ‘রাজভবন অভিযান’ শুরুর আগেও ধর্মতলা চত্বরে পুলিশের একটি বাহিনী মোতায়েন করা ছিল। এ বার রাজভবনের সামনেও প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে পুলিশ। রাজভূনের গেটের সামনেই ব্যারিকেড করে ঘিরে রেখেছে পুলিরা
নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে স্লোগানে ক্রমে তীব্র হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল থেকে। কালো পোশাক গায়ে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছেন আন্দোলনের সমর্থনকারীরা।
পুলিশের সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা বলার পর আবার এগোতে শুরু করেছে মিছিল। আপাতত বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট থেকেই এগিয়ে চলছে মিছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, পুলিশ যে বিকল্প রাস্তার প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি অনেক সরু। পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। তবে লালবাজারের সামনে দিয়েও যেতে দিতে চাইছে না পুলিশ। আপাতত সোজা পথেই এগিয়ে চলছে মিছিল।
রাজভবন অভিযানের পথ স্বল্প। পুলিশের থেকে আগাম কোনও অনুমতিও নেওয়া ছিল না এই মিছিলের জন্য। কোন পথে মিছিল এগোবে, তা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা কথা বলছেন পুলিশের আধিকারিকেরা। কিছুটা তর্কাতর্কিও শুরু হয়েছে। আপাতত মিছিলের জন্য বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এবং ওয়াটারলু স্ট্রিটের সংযোগস্থল কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। পুলিশ বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট থেকে আরএন মুখার্জি রোড হয়ে রাজভবনের দিকে যেতে বলছে। জুনিয়র ডাক্তারেরা চাইছেন তাঁরা লালবাজার দিকে আরও কিছুটা এগিয়ে গিয়ে তার পর রাজভবনের দিকে যেতে।
রাজভবনের দিকে এগোচ্ছিল মিছিল। আপাতত বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে কিছু ক্ষণের জন্য থমকে রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল। কোন পথে এগোবে, তা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন কিঞ্জল নন্দ এবং অন্য জুনিয়র ডাক্তারেরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে শামিল হয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও। আট থেকে আশি— সব বয়সের মানুষকেই আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হল না। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির সঙ্গে একাত্ম হয়েছে নাগরিক সমাজের একটি অংশ। বিচারের দাবিতে স্লোগান তুলছে তারাও। জাতীয় পতাকা হাতেও মিছিলে শামিল হয়েছেন কেউ কেউ।
অভিমুখ রাজভবন। মিছিল ইতিমধ্যে ধর্মতলায় কেসি দাসের সামনে থেকে পার করে রাজভবনের দিকে এগোতে শুরু করেছে। মিছিলে শামিল হয়েছেন অভিনয় জগতের একাধিক পরিচিত মুখও। মিছিলে হাঁটছেন দেবলীনা, চৈতীরাও।
সিবিআইয়ের প্রতি অনাস্থার কথা গত কয়েক দিন ধরেই বলে আসছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার সেই দাবিকেই সামনে রেখে রাজভবন অভিযান ডেকেছেন তাঁরা। মিছিলের সামনের সারিতে হাঁটছেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার।
জুনিয়র ডাক্তারদের ‘রাজভবন অভিযান’-এ শামিল হতে বর্ধমান থেকে এসেছেন এক বৃদ্ধা। পায়ের সমস্যা। হুইল চেয়ারে বসেই সোমবার রাজভবন অভিযানে শামিল হয়েছেন তিনি। গত বেশ কয়েক দিন ধরেই অনশনমঞ্চে আসছেন বৃদ্ধা। এর আগে তিনি নিজে পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের ‘রাজভবন অভিযান’ শুরু হওয়ার আগে ধর্মতলা চত্বরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে পুলিশ। জমায়েত বা মিছিল যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে এগোয়, তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ধর্মতলা থেকে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট হয়ে রাজভবনের দিকে এগোবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। যান চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য রাস্তার একাংশ ব্যারিকেডও করে রাখা আছে।
দুপুর ১টা থেকে জমায়েত শুরু হয়েছিল ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চের সামনে। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সংহতির বার্তা নিয়ে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের ভিড় জমেছে ধর্মতলায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘রাজভবন অভিযান’।
রাজভবন অভিযানের ডাক দিলেও, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের সাক্ষাৎ হবে কি না— তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেবাশিস জানান, তাঁরা রাজভবনে ইমেল করেছিলেন। কিন্তু অভিযান শুরুর কিছু ক্ষণ আগে পর্যন্তও কোনও জবাব আসেনি। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ না পেলে, রাজভবনে স্মারকলিপি দিতে আসতে চান তাঁরা।
দেবাশিস জানান, মূলত সিবিআইয়ের প্রতি অনাস্থার কথাই রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরতে চান তাঁরা। তিনি বলেন, “দশ দফা দাবির পাশাপাশি সিবিআইয়ের প্রতিও আমাদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। সেই দিকটি জানানোর জন্য আমরা রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছি।”
দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। পরে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানান, তাঁরা কোন পথ ধরে এগোবেন— সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্যই পুলিশ কথা বলতে গিয়েছিল। অনশনমঞ্চ থেকে রাজভবনের দূরত্ব খুবই কম। সে ক্ষেত্রে ঘোষিত এই কর্মসূচির জন্য আলাদা করে পুলিশের থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছেন দেবাশিস। ধর্মতলায় কেসি দাসের ধার দিয়ে এগোনোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার এই নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার দুপুরে রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। ধর্মতলার অনশনমঞ্চের সামনেই জমায়েত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy