প্রতীকী ছবি।
মোর্চার ডাকে বন্ধ চললেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চলছে দার্জিলিং পাহাড়ে। যেমন, শনিবার কার্শিয়াঙে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক খুলেছে। মিরিকে বাস চলেছে। তাতে যাত্রীদের ওঠানামাও ছিল। এ দিন পাহাড়বাসীরা ব্যাঙ্কে গিয়ে লেনদেনও করেন। তার উপরে দার্জিলিঙের চকবাজারে ফের ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সেখানে মোর্চা-সমর্থকরা জবরদস্তি বৈঠকের চেষ্টা করেনি। কারণ, সকাল থেকে পাহাড়ে বিধিভঙ্গের অভিযোগে ১২ জন মোর্চা নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাতে মোর্চার কট্টরপন্থীরা মেপে পা ফেলতে শুরু করেছেন। দল সূত্রের খবর, তাঁরাও যে আলোচনার পথেই হাঁটতে চান, সেটা বোঝাতে পুলিশের সঙ্গে আপাতত কোনও সংঘর্ষে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিমল গুরুঙ্গ।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন মোর্চার আলোচনাপন্থী নেতা বিনয় তামাঙ্গও। তিনি বলেছেন, ‘‘গণতান্ত্রিক পথেই দাবি আদায় করতে হবে। সেটাই পাহাড়বাসী চান।’’ তবে বিনয় ঘোষণা করেছেন, আসন্ন সর্বদলের পরেই তিনি পাহাড়ে আলাদা রাজ্যের দাবিতে আমরণ অনশনে বসবেন। ওই কর্মসূচিতে মোর্চার সব প্রথম সারির নেতাকেও সামিল হওয়ার অনুরোধ করেছেন বিনয়।
কিন্তু, মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিরা জানিয়ে দিয়েছেন, যে হেতু বিনয়কে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাই তাঁরা মোর্চার তরফে ১২ সেপ্টেম্বরের সর্বদলে আলাদা প্রতিনিধি দল পাঠাতে চান। মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের ধারণা, শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারিভাবে মোর্চা নেতাদের ডাকার কথা ভাববে।
তবে আগের সর্বদল বৈঠকে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছিল, তাঁদেরই এ বার ডাকা হবে বলে রাজ্য সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে। এ দিন উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘নবান্নে গত ২৯ শের বৈঠকে যারাই উপস্থিত ছিলেন সকলকে ডাকা হচ্ছে। সকলের কাছেই চিঠি পৌঁছবে।’’
এ দিন দার্জিলিঙে কোনও সভা-মিছিল হয়নি। বরং আলোচনার বিষয় ছিল, কার্শিয়াঙে ব্যাঙ্ক খুলল, মিরিকে বাস চলল, দার্জিলিঙে কবে তা হবে? সকালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখা খুলতেই কৌতুহলী হয়ে পড়েন মানুষ। দিনভর সেই শাখায় লেনদেন হয়েছে। পাহাড়বাসীর অনেকেই বনধ তোলার পক্ষে সওয়াল করেন।
আজ, রবিবার পর্যটন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেবে রসদ নিয়ে পানিঘাটা ও লাগোয়া এলাকায় যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy