গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। তার মধ্যেই এ বার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাদ গড়াল রাজ্য মহিলা কমিশনেও।
মহিলা কমিশন সূত্রের খবর, শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে অভিযোগ জানিয়েছেন রত্নাদেবী। বান্ধবীর পাশে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন প্রাক্তন মেয়রও। মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দু’পক্ষের চিঠিই আমরা পেয়েছি। কমিশন সব কিছু খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।’’
রত্নাদেবীর অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে শোভনবাবুর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। কিন্তু তাঁর ছেলেমেয়ে তাতে জড়িত নয়। শোভনবাবু দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। অধিকাংশ সময়েই তাঁর সঙ্গে থাকেন বৈশাখীদেবী। তিনিই বাবার সঙ্গে ছেলেমেয়েকে দেখা করতে বাধা দিচ্ছেন। আলিপুর আদালতে শোভনবাবুর মেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা বাবার সঙ্গে কথা বলেছিল। কিন্তু তার পর থেকে শোভনবাবু আর মেয়ের ফোন ধরছেন না। বাবার থেকে দূরে থাকতে থাকতে মেয়ে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে। মহিলা কমিশন সূত্রের খবর, রত্নাদেবীর চিঠির প্রেক্ষিতে বৈশাখীদেবীকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
কমিশনের খবর, কয়েক দিন আগে মহিলা কমিশনে চিঠি দিয়ে শোভনবাবু রত্নাদেবীর সব অভিযাগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, স্ত্রীর অত্যাচারেই তিনি বাড়ি ছেড়েছেন। ছেলেমেয়েদের তিনি অত্যন্ত স্নেহ করেন। কিন্তু রত্নাদেবীর জন্যই তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের এড়িয়ে গিয়েছেন। শোভনবাবুর আবেদন, বৈশাখীদেবীর আগে তাঁকে কমিশনে ডাকা হোক। প্রাক্তন মেয়রের দাবি, বৈশাখীদেবী তাঁর বন্ধু হলেও ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করেন না।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৈশাখীদেবী বলেন, ‘‘ওঁদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত কোনও বিষয়ে আমি জড়িত নই। রত্না দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন। ওঁর স্বামী জবাব দিচ্ছেন বলে আমি কিছু বলিনি। তবে সব কিছুরই একটা সীমা আছে। আইনি উপায়ে উপযুক্ত জবাব দিতেই পারি। সেই বিষয়ে উনি যেন সজাগ থাকেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy