প্রশান্ত কিশোর।—ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটের আগে একের পর এক প্রাক্তন মন্ত্রী-বিধায়কদের কাছে পিকে-র সংস্থার তরফ থেকে শাসক দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব আসছে বলে দাবি বামেদের। এমনকি, তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন না বর্তমান বিধায়কেরাও। ‘প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করার কথা বলে পাল্টা প্রচারে নেমেছে বামেরা। পিকে-র সংস্থা আইপ্যাক-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইছে না। আবার তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ব্যাপারে তাঁদের কিছু জানা নেই। এই দাবি, পাল্টা দাবির মধ্যে কতটা সত্য, কতটা প্রচার, তা নিয়ে স্বভাবতই জলঘোলা হচ্ছে রাজনৈতিক শিবিরে।
সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক লক্ষ্মীকান্ত রায়, মহেন্দ্র রায়, প্রাক্তন মন্ত্রী বনমালী রায়, দেবেশ দাসদের পরে পিকে-র প্রস্তাব পাওয়ার দাবি করেছেন কৃষ্ণনগরের সুবিনয় ঘোষ, আউশগ্রামের বাসুদেব মেটে, এবং চাকুলিয়ার আলি ইমরান রাম্জ (ভিক্টর)। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক সুবিনয়বাবুর দাবি, পিকে-র সংস্থার পরিচয় দিয়ে তাঁকে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কৃষ্ণনগর আদালত চত্বরে পিকে-র টিমের লোকজন তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময়ে তৃণমূলের এক নেতাও সঙ্গে ছিলেন বলে তাঁর দাবি।
আউশগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক বাসুদেববাবুর কাছেও পিকে-র টিমের প্রস্তাব গিয়েছে বলে সিপিএমের দাবি। অন্য দিকে, চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক ভিক্টরের দাবি, পিকে-র তরফে তাঁকে শাসক দলে যোগ দিলে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তিন জনেই অবশ্য প্রস্তাবে ‘না’ বলেছেন বলে তাঁদের দাবি। আর বামেদের দাবি, রাজ্যে তৃণমূলের সরকার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে শাসক দলের পরামর্শদাতা সংস্থা বাজারে নেমেছে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার মন্তব্য, ‘‘বামেরা এই সব প্রচার করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে কি না, জানি না। আমাদের অন্তত এমন কিছু জানা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy