ছবি: সংগৃহীত।
শান্তি মিছিলের জন্য পথে নেমে বিজেপির রাজনীতির বিরুদ্ধেই সরব হল বামেরা। উঠে এল জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) প্রসঙ্গও। বামেদের অভিযোগ, মানুষের রুটি-রুজির সমস্যার দিকে নজর না দিয়ে বিজেপি-আরএসএস বিভাজনের রাজনীতি এবং জাতীয়তাবাদের জিগির তুলতে ব্যস্ত।
মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে শুরু হয়ে শিয়ালদহ, মহাত্মা গাঁধী রোড হয়ে মহাজাতি সদনের সামনে শেষ হয় বামেদের মিছিল। বামফ্রন্টের সব শরিক ছাড়াও এসইউসি, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন, পিডিএসের মতো সহযোগী দলগুলিও মিছিলে সামিল হয়েছিল। মিছিলে ভিড় হয়ছিল ভালই। মেট্রোর কাজের জন্য উত্তর ও মধ্য কলকাতার কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। তার উপরে বামেদের মিছিলের জেরে রবিবার হলেও যান-বাহন চলাচল জট পাকিয়ে ছিল বেশ কিছু ক্ষণ। জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনার দিনটি স্মরণে রেখে প্রতি বছরই ১ সেপ্টেম্বর শহরে শান্তি মিছিল করে বামেরা।
মিছিল শেষে মহাজাতি সদনের সামনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এ দিন বলেন, ‘যুদ্ধ হলে তবেই শান্তি মিছিল করতে হবে, এমন নয়। সাধারণ মানুষের জীবনে আমরা শান্তি চাই। অস্থিরতা নয়, রুটি-রুজির নিরাপত্তা চাই।’’ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর বক্তব্য, ‘যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব’ করে জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে সব সমস্যা ধামাচাপা দিতে চাইছে বিজেপির সরকার।
বামেদের মিছিল।
বাম নেতাদের মতে, এনআরসি-র নাম করে বহু নাগরিককে দেশচ্যুত করা হচ্ছে। এর পরে বাংলাতেও এনআরসি চালু হবে বলা হচ্ছে। সেই প্রচেষ্টা রুখে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন সূর্যবাবু। কাশ্মীরের পরিস্থিতির উল্লেখ করে সেখানকার মানুষের দুর্দশা এবং বেহাল অর্থনীতির জেরে বহু লোকের রোজগারে ধাক্কার কথাও বলেছেন তাঁরা। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের চেষ্টার প্রতিবাদও করা হয়েছে মিছিল শেষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy