Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
CPM

Left Front: ফল-নিরাশাতেই প্রার্থী বামেদের, জট জোটেও

মানুষ তাঁদের দিকে মুখ না ফেরানো পর্যন্ত বামেদের নির্বাচনী ফলাফলে পরিবর্তন হওয়ার আশা ক্ষীণ।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৫৭
Share: Save:

তিন কেন্দ্রের ভোটে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট। তার মধ্যে শান্তিপুর কেন্দ্র নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে ফের টানাপড়েনও বাধল। তবে সিপিএম নেতৃত্বের মতে, রাজ্যে বিজেপির প্রতি সমর্থন আরও কমে গিয়ে সেই অংশের মানুষ তাঁদের দিকে মুখ না ফেরানো পর্যন্ত বামেদের নির্বাচনী ফলাফলে পরিবর্তন হওয়ার আশা ক্ষীণ। ফল নিয়ে প্রত্যাশা না রেখেই আপাতত রাজনৈতিক কারণে ভোটে লড়াই চালাতে চান তাঁরা। পরিস্থিতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ানোর কথাও বলছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।

শান্তিপুর আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ৬ মাস আগে সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে টানাপড়েন বেধেছিল। শেষ মুহূর্তে বামেরা তাদের দাবি প্রত্যাহার করেছিল, প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। বামফ্রন্টের তরফে সোমবার অবশ্য ওই আসনে সিপিএমের প্রার্থী সৌমেন মাহাতোর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সিপিএম সূত্রের খবর, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু শান্তিপুরের বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানানোয় নদিয়া জেলা সিপিএমের দাবি মেনে বামেরা প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। বিমানবাবু এ দিন বলেছেন, বিধানসভা ভোটের পর থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও কর্মসূচিতেও বামেদের দেখা হচ্ছে না। ভবানীপুর ও শমসেরগঞ্জ কেন্দ্রেও সম্প্রতি ‘বিভ্রান্তি’ হয়েছে। সব মিলিয়ে সমঝোতার আবহে যে চিড় ধরেছে, প্রকারান্তরে তা-ই বুঝিয়ে দিয়েছেন বিমানবাবু।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবু অবশ্যে বলেন, ‘‘আমরা চাই, বিধানসভা ভোট যে সমঝোতার ভিত্তিতে হয়েছিল, উপনির্বাচন সেই ভাবেই হোক। সেই অনুযায়ী শান্তিপুরে কংগ্রেসের লড়ার কথা। আমরা জোট ভাঙতে চাই না। তবে শান্তিপুর আসনে লড়তে চাই। বিমানবাবুকে সেই কথাই বলেছিলাম।’’ শান্তিপুরে তারা কাকে প্রার্থী করবে, তা অবশ্য কংগ্রেস এখনও ঠিক করতে পারেনি। তবে একই সঙ্গে অধীরবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, শান্তিপুরে তাঁরা লড়তে চাইলেও খড়দহ, দিনহাটা বা গোসাবায় কংগ্রেস প্রার্থী দিতে চায় না। এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস ও সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের আলোচনা সাপেক্ষে শান্তিপুরে প্রার্থী বদল হবে কি না, সেই প্রশ্ন থাকছে। প্রসঙ্গত, বাকি তিন কেন্দ্র খড়দহে সিপিএমের দেবজ্যোতি দাস, দিনহাটায় আব্দুর রউফ ও গোসাবায় আরএসপি-র অনিল চন্দ্র মণ্ডল— কয়েক মাস আগের প্রার্থীদেরই উপনির্বাচনে ফের প্রার্থী করেছে বামফ্রন্ট।

জোটের চেয়েও বামেদের কাছে এখন ঢের বেশি দুশ্চিন্তা ক্ষয়িষ্ণু জনসমর্থন। সদ্য তিন কেন্দ্রের ফলের পরে পুজোর মরসুমে চার আসনের উপনির্বাচনে প্রচার করতেও কর্মী-সমর্থকেরা কত দূর উৎসাহিত হবেন, সেই সংশয় আছে সিপিএমে। ভবানীপুরের ফলের প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, পাঁচ মাসে সেখানে বিজেপির ভোট কমেছে প্রায় ১৩%। পক্ষান্তরে, তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বেড়ে গিয়েছে ১৫%। মুর্শিদাবাদেও বিজেপির ফল আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। কিন্তু বিজেপির পড়তি জনসমর্থনের ফায়দা নেওয়ার জায়গায় বামেরা না পৌঁছতে পারা পর্যন্ত পরিস্থিতি খুব কঠিন থাকবে বলেই সিপিএমের বড় অংশের মত।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবু অবশ্যে বলেন, ‘‘আমরা চাই, বিধানসভা ভোট যে সমঝোতার ভিত্তিতে হয়েছিল, উপনির্বাচন সেই ভাবেই হোক। সেই অনুযায়ী শান্তিপুরে কংগ্রেসের লড়ার কথা। আমরা জোট ভাঙতে চাই না। তবে শান্তিপুর আসনে লড়তে চাই। বিমানবাবুকে সেই কথাই বলেছিলাম।’’ শান্তিপুরে তারা কাকে প্রার্থী করবে, তা অবশ্য কংগ্রেস এখনও ঠিক করতে পারেনি। তবে একই সঙ্গে অধীরবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, শান্তিপুরে তাঁরা লড়তে চাইলেও খড়দহ, দিনহাটা বা গোসাবায় কংগ্রেস প্রার্থী দিতে চায় না। এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস ও সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের আলোচনা সাপেক্ষে শান্তিপুরে প্রার্থী বদল হবে কি না, সেই প্রশ্ন থাকছে। প্রসঙ্গত, বাকি তিন কেন্দ্র খড়দহে সিপিএমের দেবজ্যোতি দাস, দিনহাটায় আব্দুর রউফ ও গোসাবায় আরএসপি-র অনিল চন্দ্র মণ্ডল— কয়েক মাস আগের প্রার্থীদেরই উপনির্বাচনে ফের প্রার্থী করেছে বামফ্রন্ট।
জোটের চেয়েও বামেদের কাছে এখন ঢের বেশি দুশ্চিন্তা ক্ষয়িষ্ণু জনসমর্থন। সদ্য তিন কেন্দ্রের ফলের পরে পুজোর মরসুমে চার আসনের উপনির্বাচনে প্রচার করতেও কর্মী-সমর্থকেরা কত দূর উৎসাহিত হবেন, সেই সংশয় আছে সিপিএমে। ভবানীপুরের ফলের প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, পাঁচ মাসে সেখানে বিজেপির ভোট কমেছে প্রায় ১৩%। পক্ষান্তরে, তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বেড়ে গিয়েছে ১৫%। মুর্শিদাবাদেও বিজেপির ফল আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। কিন্তু বিজেপির পড়তি জনসমর্থনের ফায়দা নেওয়ার জায়গায় বামেরা না পৌঁছতে পারা পর্যন্ত পরিস্থিতি খুব কঠিন থাকবে বলেই সিপিএমের বড় অংশের মত।

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Left Front Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy