প্রতীকী ছবি।
দু’পক্ষের সমঝোতা হয়েছে উপনির্বাচনে। এ বার আন্দোলনের কর্মসূচিকেও সংগঠনের নানা স্তরে যৌথ ভাবে ছড়িয়ে দিতে তৎপর বাম ও কংগ্রেস। যুব কংগ্রেসের প্রস্তাব মেনে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানেই যুব সংগঠনের যৌথ কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ, এই অভিযোগকে সামনে রেখেই পথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাম ও কংগ্রেসের যুব কর্মী-সমর্থকেরা।
কর্মসংস্থানের দাবিতে পুজোর আগে ‘নবান্ন অভিযান’ করেছিল ১২টি বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন। সেই কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস চালনার পরে ‘আক্রান্ত’দের পাশে দাঁড়িয়েছিল যুব কংগ্রেস। তার পরে প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান যৌথ আন্দোলনের স্বার্থে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রকে। সেই প্রস্তাব মেনেই মুখোমুখি বসতে চলেছেন দু’ পক্ষের যুব নেতৃত্ব। যুবদের আলাদা কর্মসূচি ছাড়াও আসন্ন ‘লং মার্চ’-এ বাম ও কংগ্রেসের সব সংগঠনই যোগ দেবে। চিত্তরঞ্জন থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর শুরু হয়ে ওই পদযাত্রা কলকাতায় পৌঁছবে ১১ ডিসেম্বর। ওই ‘লং মার্চ’-এর উদ্যোক্তা সিটু, সঙ্গে আছে আইএনটিইউসি। উত্তরবঙ্গেও কোচবিহার থেকে শুরু হয়ে একটি পদযাত্রা ১০ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি পৌঁছবে।
উপনির্বাচনের প্রচারেও এ বার একমঞ্চে হাজির হতে চলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস ও রাজ্য সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব। ঠিক হয়েছে, খড়গপুরে আগামী ২১ নভেম্বর একত্রে প্রচারে থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। পরের দিন, ২২ তারিখ করিমপুরে সোমেনবাবুর সঙ্গে থাকার কথা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। করিমপুরে আজ, বুধবার কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে যৌথ প্রচার শুরু করার কথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy