হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউটের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ফের জয়লাভ করল বাম সমর্থিত প্রগতিশীল জোট। জয়ের পরেই সবুজ আবির মাখলেন জোটকর্মীরা। সঙ্গে উঠল ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ এবং ‘বন্দেমাতরম’ স্লোগানও!
হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউটের পরিচালন সমিতির বোর্ডের এক জন সহ-সভাপতি ও ১৮ জন সদস্যপদের জন্য শুক্রবার ২৮ মার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ভোট হয়। মোট ১৯টি আসনে ৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তারই ফলপ্রকাশ হল শনিবার। বিকেলে ফলাফল ঘোষণার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন বাম সমর্থিত প্রগতিশীল জোটের প্রার্থীরা। শেষশেষ চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, মোট ১৯টি আসনের মধ্যে বাম সমর্থিত প্রগতিশীল জোটের ১৩ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। অন্য দিকে তৃণমূল সমর্থিত আইএনটিটিইউসি-র এক জন সহ-সভাপতি-সহ মোট ছ’জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
এই ভোটে খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি সমর্থিত বিএমএস। এর আগে ২০২৩ সালে হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউটের পরিচালন সমিতির ভোটে বাম প্রগতিশীল জোট সব ক’টিই আসনে জয়লাভ করে বোর্ডের ক্ষমতা ধরে রেখেছিল। এ বারও সেই ধারা বজায় থাকল।
বাম সমর্থিত ‘ক্যালকাটা পোর্ট অ্যান্ড সোর মজদুর ইউনিয়ন’-এর নেতা বিমান মিস্ত্রি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরেই ক্ষমতায় রয়েছি আমরা। তবে এখন জোট ছাড়া একক ভবে জিতে আসা সম্ভব নয় বলেই বাম প্রগতিশীল জোট গড়ে আমরা লড়াই করেছি। মাঝে আট বছর আমরা ছিলাম না। ২০০৭ সালে আমরা প্রথম পরাজিত হয়েছিলাম। সে বার নন্দীগ্রামের ঘটনার জেরে তৃণমূল জিতে যায়। এ বার আমরা স্বমহিমায় ফিরে এসেছি।’’
তৃণমূলের প্রার্থী সরোজ গায়েন বলেন, ‘‘এখানে তৃণমূল সমর্থিত কর্মীরা ১৮টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিলেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট তৃণমূলের থেকে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচটি আসনে আমরা জিতেছি। অন্য দিকে, সিআইটিইউ, এসইউসি ও অন্য দলেরা মিলিত ভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। এই জোট মিলিত ভাবে ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছে। বন্দরের কর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও কর্মীদের উন্নয়নের বিষয়ে আমরা সকলেই একমত। তাই যারাই ক্ষমতায় আসুক, তারা কর্মীদের জন্যই কাজ করবে বলে আমরা আশাবাদী।’’