পাহাড়ে নতুন মঞ্চ গঠনের পথে অজয় এডওয়ার্ড। —ফাইল চিত্র।
পাহাড়ে তিন পুরসভায় ভোট শিয়রে। তা নজরে রেখে নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন অজয় এডওয়ার্ড। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতাদের ভাঙিয়েই সেই মঞ্চ তৈরি হতে চলেছে বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন হামরো পার্টির সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল ও বিজেপিতে অনেকেই আছেন, যাঁরা মানুষের জন্য ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না। দলে তাঁদের কোনও গুরুত্ব নেই। তাঁরাই যোগ দিচ্ছেন। পাশাপাশি, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (অনীত থাপার দল) এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (বিমল গুরুঙের দল)-র অনেক নেতাও যোগ দেবেন।’’
তৃণমূল অবশ্য অজয়ের মন্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ। দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী (পাহাড়) শান্তা ছেত্রী বলেন, ‘‘আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। গণতন্ত্রে সকলের সমান অধিকার। কে কী করবে, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।’’ অন্য দিকে, অজয়কে ‘মুখ্যমন্ত্রীর খেলার পুতুল’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (পাহাড়) কল্যাণ দেওয়ান বলেন, ‘‘অনীত এবং অজয় দু’জনেই মুখ্যমন্ত্রীর কথায় নাচছে। যাঁরা স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজনীতিতে আসেন, তাঁরাই যাবেন অজয়ের মঞ্চে। কিন্তু পাহাড়বাসীর দাবি একমাত্র বিজেপিই পূরণ করতে পারবেন।
হামরো পার্টি গড়ে গত পুরভোটে দার্জিলিং পুরসভা দখল করেছিল অজয়ের দল। তাতে অল্প সময়ের জন্য হলেও অনেক বদল এসেছিল পাহাড়ে রাজনৈতিক সমীকরণে। পরে তাঁর দলের কাউন্সিলরেরা অনীতের প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দেওয়ায় পুরসভা অজয়ের হাতছাড়া হয়। নতুন বছরের এপ্রিল নাগাদ কার্শিয়াং, কালিম্পং ও মিরিক পুরসভায় ভোট হতে পারে। সেই ভোটে বাজিমাত করতেই অজয় নতুন ছক কষছেন বলে মনে করছেন অনেকে।
অজয় জানিয়েছেন, নতুন মঞ্চের জন্য তিনটি নাম ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন তিনি। কমিশন যে নামে সবুজ সঙ্কেত দেবে, নতুন মঞ্চের নাম তা-ই হবে। অজয় বলেন, ‘‘পাহাড়ে গোর্খাদের উন্নয়নের জন্যই আমাদের নতুন মঞ্চ কাজ করবে। প্রায় ৪০ বছর ধরে পাহাড়বাসীর দাবি— আলাদা রাজ্য। তা নিয়ে পাহাড়ের স্থানীয় দল বা কেন্দ্র-রাজ্যের কোনও মাথাব্যথা নেই৷ পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নই আমাদের মূল লক্ষ্য।’’
অজয়ের মঞ্চকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ পাহাড়ের শাসকদল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। অনীতের দলের মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘দার্জিলিং পুরসভা নির্বাচনের সময় হামরো পার্টির উত্থান। পাহাড়ের মানুষ সব সময় নতুনদের সুযোগ দেয়। ওদেরও দিয়েছিল। কিন্তু পাহাড়বাসী এখন ওদের উদ্দেশ্য বুঝে গিয়েছে। নতুন মঞ্চ গড়ে খুব একটা লাভ হবে না। কারণ এতে কিছু যাবে-আসবে না।’’ বিমলের দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy