Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sandeshkhali Incident

সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হোক, দৃষ্টি আকর্ষণ হাই কোর্টের, মামলা দায়েরের অনুমতি

শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আর্জি জানিয়ে বলা হয়েছে, সন্দেশখালিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক।

Lawyer seeks attention of Calcutta High Court with demand of deployment of central force in Sandeshkhali

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৮
Share: Save:

সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। শুক্রবার আইনজীবী সংযুক্তা সামন্তের তরফে এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে ওই আইনজীবীর আর্জি, সন্দেশখালিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক।

মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয়দের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল সন্দেশখালিতে। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে পলাতক শাহজাহান। সম্প্রতি আবার উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে পথে নেমেছেন স্থানীয়দের একাংশ। দফায় দফায় সেখানে অশান্তি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা।

সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করানো নিয়ে একটি মামলায় রাজ্যের উদ্দেশে হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্ন ছিল, ‘‘গোটা সন্দেশখালি জুড়ে উত্তেজনা? কেন গোটা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি? এর পর তো বলবেন গোটা কলকাতা জুড়েই ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে। মামলায় গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে। হালকা ভাবে নেবেন না।’’ এর পর প্রশাসনের তরফে গোটা সন্দেশখালি থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু বেশ কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা রয়েছে।

অশান্তির আবহেই শুক্রবার সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেয় বিজেপির প্রতিনিধি দল। ছয় সদস্যের এই দল গঠন করেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। দলটি সন্দেশখালি পৌঁছনোর আগে রামপুরে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। রাস্তায় বসে পড়েছেন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে বচসা চলে। এর আগে রামপুরে শুভেন্দু অধিকারীকেও বাধা দিয়েছিল পুলিশ। শুক্রবার সন্দেশখালি যেতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। পুলিশি নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা এলাকায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy