Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata Doctor Rape and Murder

‘ধর্ষণ-খুন-কাণ্ডে যুক্তই নন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার’, জামিন চেয়ে দাবি আইনজীবীর, কী কী যুক্তি দিলেন?

শিয়ালদহ আদালতে শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানো হয়েছিল ধৃতকে। তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

শিয়ালদহ আদালতে শুক্রবার আরজি কর মামলার শুনানি হয়েছে।

শিয়ালদহ আদালতে শুক্রবার আরজি কর মামলার শুনানি হয়েছে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪
Share: Save:

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্তই নন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, এমনটাই দাবি করলেন তাঁর আইনজীবী কবিতা সরকার। আদালত চত্বরে তিনি জানান, তাঁর মক্কেল গোটা ঘটনার সঙ্গে আদৌ যুক্ত নন। ধৃতের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন, ধৃত কিছুই করেননি। উচ্চ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা পড়ে নেই। তাই তাঁর মক্কেলের জামিন পাওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন আইনজীবী। যদিও তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের বক্তব্য যাচাই করা দরকার। এর পর আদালতেও তিনি ধৃতের জামিনের আবেদন জানান। তবে তা মঞ্জুর হয়নি। শুক্রবার ধৃতকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শিয়ালদহ আদালতে শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানো হয়েছিল ধৃতকে। তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। অভিযুক্তের পক্ষে তাঁর যুক্তি ছিল, এই মামলায় সিবিআই অনেক দিন ধরে তদন্ত চালাচ্ছে। কিন্তু এখনও তদন্তের কোনও অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তাই তাঁর মক্কেলকে জেলে রাখার কোনও মানেই হয় না। কিন্তু জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়নি।

শুনানির আগে আদালত চত্বরে ধৃতের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল আরজি করের ধর্ষণ-খুন-কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। এর আগে অন্য কোনও অপরাধের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন না। কোনও উচ্চ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে না। ফলে তাঁর জামিন পেতে বাধা নেই। পরে আদালতে সিবিআই তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ধৃতের আইনজীবী।

আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর অনুপস্থিতি নিয়ে শুক্রবার বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বিচারক। অভিযোগ, শুনানি শুরু হওয়ার পর আদালত কক্ষে সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। দীর্ঘ ৪০ মিনিট পর তিনি সেখানে পৌঁছন। যা নিয়ে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে। এমনকি বিরক্ত হয়ে বিচারক বলেন, ‘‘তবে কি এই মামলায় জামিন দিয়ে দেব?’’ পরে সিবিআইয়ের আইনজীবী পৌঁছে ধৃতের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফেও ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল। তা মঞ্জুর করেছে আদালত।

আরজি কর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত এক জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ঘটনার পরের দিনই। সে সময় ধৃত অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন বলে দাবি করে পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। ধৃতকেও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিছু দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পরে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় তাঁকে। ইতিমধ্যে ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy