Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Chandana Bauri

Chandana Bauri: চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় হুমকি! কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী-কে নিরাপত্তা পুলিশের

চন্দনা বাউড়ির গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডুর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর সুরক্ষায় নিরাপত্তারক্ষী বরাদ্দ করেছে পুলিশ।

বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক অভিযোগ।

বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৩৭
Share: Save:

বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানোয় ক্রমাগত হুমকি দিয়ে ফোন আসছে। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য ক্রমাগত চাপও দেওয়া হচ্ছে। বিধায়কের গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী রুম্পার এই অভিযোগের ভিত্তিতে এ বার তাঁর সুরক্ষায় এক জন নিরাপত্তারক্ষী বরাদ্দ করল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। যদিও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সূত্রে খবর, রুম্পার নিরাপত্তার দায়িত্বে আপাতত এক জন কনস্টেবল সর্ব ক্ষণ মোতায়েন থাকবেন। রুম্পার দাবি, “বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পর থেকেই বার বার তা প্রত্যাহার করার জন্য চাপ আসতে থাকে। ফোনে একাধিক বার হুমকিও দেওয়া হয়। তবে আমি নিজের অবস্থানে অনড়। বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেব না। হুমকি দেওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানালে আমার সুরক্ষায় এক জন নিরাপত্তারক্ষী বরাদ্দ করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা গত ১৯ অগস্ট তাঁর গাড়ির চালক কৃষ্ণকে গোপনে বিয়ে করেন বলে জল্পনা ছড়ায়। যদিও সে দিনই নেটমাধ্যমে যাবতীয় জল্পনা নস্যাৎ করেন চন্দনা। তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্যই বিরোধীরা অপপ্রচার করছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে গঙ্গাজলঘাটি থানায় চন্দনা এবং কৃষ্ণের বিরুদ্ধে রুম্পা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনা অন্য মোড় নেয়। রুম্পার দাবি, নির্বাচনের আগে থেকে দলীয় কাজে চন্দনার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেতেন তাঁর স্বামী। সেই সূত্রেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রুম্পার আরও দাবি, ১৯ অগস্ট ভোরে চন্দনার ভাই তাঁকে ফোন করে জানান যে, কৃষ্ণ এবং চন্দনা গোপনে বিয়ে করেছেন। প্রতিবাদ করলে তার ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রুম্পার অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় চন্দনা এবং কৃষ্ণের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।

মামলায় আর এক অভিযুক্ত কৃষ্ণ ১৯ অগস্টের পর দফায় দফায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যেই তাঁকে দু’বার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর পাশে সর্বক্ষণ ছিলেন রুম্পা। শুক্রবার কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাঁকে ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পর স্বামীকে নিয়ে লছমনপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে যান রুম্পা।

শনিবার বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, “এই ঘটনায় অভিযোগকারিণী রুম্পা একাধিক হুমকি-ফোন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাঁর সুরক্ষায় সর্বক্ষণ এক জন নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি মূল মামলার সঙ্গে হুমকি দেওয়ার ধারাও যোগ করা হয়েছে।”

শনিবার এ বিষয়ে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেননি চন্দনা। তবে তাঁর আইনজীবী লোকেশ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “বিধায়ক চন্দনার পাশাপাশি অভিযোগকারিণী রুম্পার স্বামী কৃষ্ণও এ ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত। অভিযোগকারিণীর বাড়িতেই রয়েছেন এক জন অভিযুক্ত। অন্য জনের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা হুমকির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy