প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আগামী ২০২৯ সালকে ‘লক্ষ্য’ রেখে ভারত জুড়ে ‘এক দেশ এক ভোট’ পদ্ধতি কার্যকর করার ‘কাজ’ শুরুর সুপারিশ করেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের কমিটি। বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করেছে। ওই রিপোর্টের সুপারিশগুলি মেনে নরেন্দ্র মোদী সরকার সংসদে আইন পাশ করালে ২০২৯ সাল থেকে দেশ জুড়ে একই সঙ্গে লোকসভা এবং সবগুলি রাজ্য ও দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর, পুদুচেরির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিধানসভার ভোট হবে। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে যে সরকার নির্বাচিত হয়ে আসবে, তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তিন বছর পর, ২০২৯ সালে। একই রকম ভাবে মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে ২০২৬ সালে বিধানসভার ভোট-হওয়া অন্য কয়েকটি রাজ্যেরও।
২০২১ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই বিধানসভা ভোট হয়েছিল তামিলনাড়ু, কেরল, অসম এবং পুদুচেরিতে। অর্থাৎ, ২০২৬ সালের গোড়ায় এই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত বিধানসভার মেয়াদ পাঁচ বছর। ফলে বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যের সেই বিধানসভার মেয়াদ ২০৩১ পর্যন্ত থাকা উচিত। কিন্তু কোবিন্দ কমিটির সুপারিশ মেনে ২০২৯-এ ‘এক দেশ এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন) কার্যকর হলে তিন বছরের মাথাতেই ভেঙে দিতে হবে সেই প্রতিটি নির্বাচিত বিধানসভাকে। যা বর্তমান সাংবিধানিক ব্যবস্থার ‘পরিপন্থী’ বলেই আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা।
প্রসঙ্গত, বিরোধী দলগুলি আগেই প্রশ্ন তুলেছিল, ‘এক ভোট’ ব্যবস্থা চালুর পরে কেন্দ্রে বা কোনও রাজ্যে পাঁচ বছরের আগেই নির্বাচিত সরকার পড়ে গেলে কী হবে? সে ক্ষেত্রে কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ হল, প্রয়োজনে বাকি সময়টুকুর জন্য আলাদা ভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা যেতে পারে। কিন্তু ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। ফলে ২০২৯-এ বেশ কিছু বিধানসভার ‘অকাল মেয়াদ শেষের’ মতোই এ ক্ষেত্রেও মোদী সরকারকে সংবিধান সংশোধন করতে হতে পারে।
গত দু’দশক ধরে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের নির্বাচন হচ্ছে। বস্তুত, ‘এক দেশ এক ভোট’ কার্যকর হলে ওই চার রাজ্য ছাড়া অন্য সবক’টি বিধানসভার মেয়াদই শেষ হবে নির্ধারিত পাঁচ বছরের আগেই। শুধু লোকসভা-বিধানসভা নয়। পরবর্তী সময়ে সেই ‘এক ভোট’ কর্মসূচিকে পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলিকেও যুক্ত করার কথা বলেছে কোবিন্দ কমিটি। রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে, পরবর্তী ধাপে লোকসভা-বিধানসভা ভোটের ১০০ দিনের মধ্যে যাতে পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটগুলির আয়োজন করা যায়, তার ব্যবস্থাও করতে হবে। ফলে পরবর্তী ধাপে দেশের বিভিন্ন পঞ্চায়েত-পুরসভার মেয়াদও শেষ হতে পারে অকালেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy