(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং নবীন পট্টনায়েক। —ফাইল চিত্র।
দেড় দশক পরে আবার বিজেডি-বিজেপি জোটের সম্ভাবনা ওড়িশায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, পদ্মশিবিরের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় নেতাদের বৈঠকে ডেকেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়েক।
অন্য দিকে, বিজেডির সঙ্গে জোটের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে বুধবার রাতে দিল্লি গিয়েছেন ওড়িশার বিজেপি সভাপতি মনমোহন শ্যামল-সহ দলীয় পদাধিকারীরা। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের সঙ্গেই ওড়িশায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।
অটলবিহারী বাজপেয়ীয় জমানা থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সদস্য ছিল বিজেডি। কিন্তু সে বছর কন্ধমাল জেলায় গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিকে দুষে বিজেপি-সঙ্গ ছেড়েছিলেন নবীন। যদিও তাতে তাঁর ক্ষমতায় ফেরা আটকায়নি। অন্য দিকে, কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে ওড়িশায় প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছিল বিজেপি।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ওড়িশায় ২১টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১২ এবং বিজেপি আটটিতে জিতেছিল। কংগ্রেস মাত্র একটিতে। ১৪৭ আসনের ওড়িশা বিধানসভায় বিজেডি ১১২, বিজেপি ২৩ এবং কংগ্রেস ন’টিতে জেতে। তা হলে জনসমর্থনের নিরিখে তৃতীয় দলকে ঠেকাতে কেন সমঝোতার উদ্যোগ শুরু করেছে প্রথম এবং দ্বিতীয় দল?
বিজেপির একটি সূত্রের খবর, নবীনের হাত ধরার বিষয়ে ওড়িশার বিজেপি নেতাদের একাংশের আপত্তি থাকলেও ‘মিশন ৩৭০’ সফল করার উদ্দেশ্যেই জোটের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। গত সপ্তাহে বিজেডির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) প্রকাশ দাস দিল্লি গিয়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে এক দফা আলোচনা করেছেন বলেও সূত্রের খবর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিজেপি লোকসভা ভোটের জন্য এখনও পর্যন্ত দু’দফায় আড়াইশোর বেশি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও সেই তালিকায় নেই ওড়িশার কোনও আসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy