বমাল: উদ্ধার হয়েছে চুরি করা জিনিসপত্র। নিজস্ব চিত্র
চুরির মালের গুদামঘর। ভাড়া মাসে দেড় হাজার টাকা। চোরকে ধরার পরে সেই গুদামে হানা দিয়ে পুলিশ উদ্ধার করল চুরি যাওয়া এলসিডি টিভি, গ্যাসের সিলিন্ডার, পাম্প। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে চোখ কপালে উঠেছে বাড়ির মালিকের। চুরির মাল লুকিয়ে রাখতে যে কেউ টাকা দিয়ে ঘর ভাড়া নিতে পারে তা বিশ্বাস করতে চাইছেন না স্থানীয় লোকজনও।
বাঁশদ্রোণীর শেখপাড়ার ঘটনা। সেখানেই একটি আবাসিক বাড়ির একটি অংশ ভাড়া নিয়েছিল শঙ্কর দাস নামে এক যুবক। পুলিশের দাবি, শঙ্কর চোর। লোকের বাড়িতে হানা দিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার, টিভি-র মতো বড় বড় জিনিসপত্র সে চুরি করত বলে অভিযোগ। তার পরে সেই সব জিনিস লুকিয়ে রাখত বাঁশদ্রোণী এলাকার শেখপাড়ার ওই বাড়িটির একটি ঘরে। শুক্রবার রাতে শঙ্করকে একটি এলসিডি টিভি চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, ২৭ নভেম্বর সুমিতাভ মুখোপাধ্যায় নামে এক চিকিৎসক অভিযোগ জানান, তাঁর চেম্বার থেকে একটি এলসিডি টিভি চুরি হয়েছে। স্থানীয় দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এলাকায় কড়া নজরদারি চালিয়েও প্রথমে ওই চিকিৎসকের টিভি চুরির কিনারা করতে পারা যাচ্ছিল না। দিন কয়েক আগে সূত্র মারফৎ তদন্তকারীরা জানতে পারেন বাঁশদ্রোণী, নরেন্দ্রপুর এবং রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় তিনটি নতুন মুখ ঘোরাঘুরি করছে। তাদের চিহ্নিত করে নজরদারি চালানো হয়। কিন্তু ওই তিন জনের বিরুদ্ধে দুষ্কর্মের কোনও অভিযোগ না থাকায় পুলিশের পক্ষে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব ছিল না।
শুক্রবার বিকেলে পুলিশ জানতে পারে সাড়ে চারটে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার মধ্যে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকায় পর পর দু’টি চুরি হয়। প্রথমটিতে চুরি যায় রান্নার গ্যাসের দু’টি সিলিন্ডার। দ্বিতীয় ঘটনায় চুরি যায় একটি পাম্প। তদন্তে নেমেই পুলিশ ওই তিন জনের খোঁজ শুরু করে। শঙ্কর ধরা পড়ে। তার ভাড়া নেওয়া ঘর থেকে এলসিডি টিভি, গ্যাস সিলিন্ডার, পাম্প সবই উদ্ধার হয়।
তদন্তকারীরা জানান, শঙ্কর প্রথমে মোটরবাইকে চেপে ঘুরত। পুলিশ তার উপরে নজর রাখছে বুঝতে পেরে কিছু দিন ধরে সে সাইকেলে চেপে এলাকায় ঘুরে বেড়াত। তার পরে পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে সে পায়ে হেঁটেও বাঁশদ্রোণী এলাকায় যাতায়াত করত। তদন্তকারীরা জানান, চুরির পরে বড় বড় জিনিসপত্র দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে ফেলা সমস্যা বুঝে সে ওই ঘরটি ভাড়া নিয়েছিল। সেখান থেকেই সে চুরির মালপত্র অন্যত্র বিক্রি করে দিত।
পুলিশ জানতে পেরেছে নরেন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর বাঁশদ্রোণী, রিজেন্ট পার্কের মতো বিভিন্ন এলাকায় চুরি করত। তার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও কেউ কেউ রয়েছে বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। রাত ৮টার মধ্যে কাজ করে সে নরেন্দ্রপুরে ফিরে যেত বলেই জানায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy