প্রতীকী ছবি।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। তার মধ্যেই স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল স্ত্রীর বাড়ি থেকে। ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানা এলাকার নিসিদের চকে। পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় ডাব বিক্রেতা ওই ব্যক্তির নাম বলরাম হরিজন(২৯)। তাঁর বাড়ি বিষ্ণুপুরের দাঁড়ি কেওড়াডাঙ্গা এলাকায়। তাঁর মা ফুলকুমারী হরিজন ছেলের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর সাতেক আগে দাঁড়ি কেওড়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা বলরাম হরিজন ভালোবেসে নিসিদের চকের বাসিন্দা সুনন্দা মণ্ডলকে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, বিয়ের পর থেকে বলরাম ও সুনন্দার মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। হামেশাই অশান্তি হত। পুলিশ জেনেছে, বলরাম তাঁর স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন।
বলরামের পরিবারের অভিযোগ, এক বার গোলমালের সময়ে সুনন্দা তাঁর বাবা, দাদাদের ডেকে পাঠান। অভিযোগ, সুনন্দার আত্মীয়েরা বলরামকে তাঁর বাড়িতেই মারধর করেন। বলরামের মা ফুলকুমারী জানান, তাঁর তিন সন্তান। বলরামই ছিলেন সংসারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। তিনি বলেন, ‘‘ছেলের মুখ চেয়ে বৌমার সব অত্যাচার সহ্য করতাম। দিন কয়েক আগে বাপের বাড়ি চলে যায় বউমা। তার পরে ফোন করে সেখানে বলরামকে ডেকে পাঠায়। ছেলে ওখানেই ছিল।’’
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে বলরামের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁর শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীরা। পরে খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা বলরামকে মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্তকারীরা জানান, সুনন্দার বাড়ি থেকে ফোনে বলরামের মৃত্যুর খবর তাঁর পরিবারকে জানানো হয়। বলরাম আত্মহত্যা করেছে বলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির তরফে জানানো হয়। খবর পেয়ে বলরামের বাড়ির লোকজন সেখানে যান। ফুলকুমারী দেবীর অভিযোগ, ‘‘আমার ছেলে কোনও ভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। ওকে খুন করে দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ পুলিশ বলরামের দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy