ঘুম থেকে উঠে অনেকেই ইদানীং চিনি দেওয়া দুধ চা কিংবা লাল চায়ের বদলে গ্রিন টির কাপে চুমুক দিচ্ছেন। কেউ ওজন ঝরানোর আশায়, কেউ আবার নিছকই শখে চা খাওয়ার অভ্যাসে বদল এনেছেন। তবে কেবল গ্রিন টি-ই নয়, এখন বাজারে ব্লু টি-রও চাহিদা বেড়েছে। অপরাজিতা ফুল, নীল জবার মিশ্রণ দিয়েই তৈরি হয় ব্লু টি। হালকা টক স্বাদ ও নীল রঙের জন্য অনেকেই এই চায়ের স্বাদ অনেকেই পছন্দ করেন। কেবল স্বাদেই ভাল নয়, এই চায়ের স্বাস্থ্যগুণও অনেক। জেনে নিন, কেন এই চা কেন এত স্বাস্থ্যকর।

১) শীতের মরসুম মানেই শরীরে ভাইরাস কিংবা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ব্লু টি-তে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

২) ব্লু টি-তে অ্যান্টিথ্রম্বোটিক গুণ রয়েছে, ফলে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই চা। তাই এই চা নিয়মিত খেলে তাই কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমে। সব মিলিয়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতেও এই চা বেশ উপকারী।

৩) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত এই চা খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৪) ব্লু টি হজমে সাহায্য করে। ভারী খাবার খাওয়ার আগে এক কাপ ব্লু টি খেতে পারেন। এতে বিপাকহার বাড়ে। বমি ভাব কাটানোর কাজেও আসে ব্লু টি।

৫) রোজকার ডায়েটে রাখলে এই চা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। কারণ, ব্লু টি মস্তিষ্কে অ্যাসিটাইলকোলিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। যার অ্যান্টিপাইরেটিক গুণ উদ্বেগ কমাতে ও অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে।

৬) ব্লু টি ভাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাল উৎস। ডাইইউরেটিক হওয়ার কারণে এই চা খেলে ঘন ঘন মূত্রচাপ আসে। ফলে শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। এর মধ্যে থাকা সাইক্লোটাইড-এর অ্যান্টি এইচআইভি, অ্যান্টি-টিউমার গুণ রয়েছে।

৭) ব্লু টি-র অ্যান্টি-গ্লাইসেটিন গুণের জন্য এটা ত্বকের পক্ষে খুব ভাল। এর মধ্যে থাকা ফ্লাভোনয়েড ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে বয়স ধরে রাখে। বলিরেখা পড়তে দেয় না। আবার অ্যান্থোসায়ানিন থাকায় চুল পড়ার সমস্যাতেও কাজ করে ব্লু টি।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ক্রনিক অসুখ থাকলে ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।