প্রতীকী ছবি।
রিভলভার নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলেন দাদা। আচমকা ট্রিগারে হাত পড়তেই গুলি ছিটকে গিয়ে ভাইয়ের বুকে বিঁধল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল ভাইয়ের।
রবিবার রাতে নিমতার ঘটনা। ভাইকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দাদা ও তার এক সঙ্গীকে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অভিজিৎ বারুই (২২)। ধৃত যুবক সুরজিৎ বারুই মৃতের জেঠতুতো দাদা। তিনি উত্তর দমদম পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের অস্থায়ী কর্মী। আর এক ধৃতের নাম সঞ্জয় মিত্র।
নিমতার পটনা-অম্বিকাপল্লির বাসিন্দা অভিজিৎ কলকাতা টাউন ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় ডিভিশনে ফুটবল খেলতেন। মা বীণাদেবীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি। ওই রাতে তিনি খড়্গপুর থেকে খেলে বাড়ি ফিরেছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, রাত ১২ টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পরে পাড়ার একটি মন্দির চত্বরে যান অভিজিৎ। সেখানেই নেশার আসরে বসেছিলেন সুরজিৎ। সেখানে একটি ওয়ান শটার নিয়ে নাড়াচাড়া চলছিল। অভিজিৎ সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে রিভলভারটি মত্ত অবস্থায় থাকা সুরজিতের হাতে ছিল। তখনই আচমকা গুলি ছিটকে যায়।
পুলিশ জানায়, গুলিটি সঞ্জয় নামে এক যুবকের হাতের তালু ছুঁয়ে অভিজিতের বুকে লাগে। গুলির শব্দ শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়েরা। খবর পান বীণাদেবীও। ওই যুবককে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার পরে সুরজিতেরা গা ঢাকা দেয়। তবে রাতের মধ্যেই তাকে নিমতা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। সোমবার সকালে থানায় আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জয়।
এ দিন বীণাদেবী জানান, অভিজিৎ বাড়ি ফিরে স্নান করে তাঁকে ভাত বাড়তে বলে বেরিয়েছিলেন। তার কিছু ক্ষণ পরেই গুলির আওয়াজ শুনে গিয়ে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি।
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (জোন-২) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘কোথা থেকে ধৃতেরা ওই রিভলভার পেল, কীসের জন্য তা আনা হয়েছিল সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy