প্রলয় মল্লিক
মোটরবাইকের লাগামছাড়া গতির জেরে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। আহত হয়েছেন ওই যুবকের বন্ধু। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানা এলাকার রাসবিহারী কানেক্টরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম প্রলয় মল্লিক (২৫)। তাঁর বাড়ি পূর্বাচল গোল্ডেন পার্কে। আহত যুবকের নাম সুপ্রিয় সরকার (২২)। তাঁর বাড়ি কসবারই রাজডাঙা চক্রবর্তী পাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রলয়দের মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। তখন মোটরবাইকটির গতি ঘণ্টায় একশো কিলোমিটারেরও বেশি ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলেই প্রলয়ের মৃত্যু হয়।
প্রলয়ের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কসবা এলাকায় কোনও এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রলয় ও সুপ্রিয়। বাড়িতে ফোন করে প্রলয় জানিয়েছিলেন, ফিরতে দেরি হবে। তাঁর ভাই সায়ন সোমবার বলেন, ‘‘দাদা আমার মোবাইলে রাত ১২টা নাগাদ ফোন করে বলেছিল বন্ধুর বাড়িতে আছে। ফিরতে একটু দেরি হবে।’’ তাই রাত ১টা বেজে গেলেও প্রলয় কেন বাড়ি ফিরছেন না, তা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করেননি তাঁর বাড়ির লোক। রাত ৩টে নাগাদ প্রলয়ের বাড়িতে কসবা থানার পুলিশ এসে জানায়, রাত ১টা ১০ মিনিট নাগাদ প্রলয়ের মোটরবাইকটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
এ দিন সকালে প্রলয়ের বাড়ি গেলে দেখা যায়, সেখানে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীদের ভিড়। প্রলয়ের মা লক্ষ্মীদেবী বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। বাবা সুশান্তবাবু ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছেন। প্রলয়ের এক কাকা জয়ন্ত মল্লিক বলেন, ‘‘প্রলয় কলেজের পড়া শেষ করে মিনারেল ওয়াটার সরবরাহের ব্যবসা করত। পাড়ায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা থেকে শুরু করে যে কারও বিপদে সব সময়ে এগিয়ে যেত। পাড়ার সবাই ওকে খুব ভালবাসতেন।’’ প্রলয়ের ব্যবসার এক অংশীদার দিলীপ সাহা বলেন, ‘‘আমাকে ও জেঠু বলে ডাকত। রবিবার রাতে পাড়ায় পুজো ছিল। সেই উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় ওর সঙ্গে কথা হল। বললাম, সোমবার সকালে কিন্তু সময় মতো অফিসে চলে আসিস। তার পরে যে এতবড় ঘটনা ঘটবে, ভাবতেই পারছি না।’’ প্রলয়ের ভাই সায়ন বলেন, ‘‘দাদা মোটরবাইকের পিছনে বসেছিল। কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। হেলমেট না থাকাটাই হয়তো কাল হল।’’
এ দিন দুপুরে কসবা থানায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোটরবাইকটি। সামনের লুকিং গ্লাস ভাঙা। রাসবিহারী কানেক্টরে মাঝেমধ্যেই বেপরোয়া ভাবে মোটরবাইক চালানোর অভিযোগ ওঠে। ওই রাস্তায় কিছু দূর অন্তর সিগন্যাল রয়েছে। টহলদারিও চলে বলে দাবি পুলিশের দাবি। তা সত্ত্বেও কী ভাবে পুলিশি নজরদারি ও সিগন্যাল এড়িয়ে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy