বন্ধুর বাবার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সবেমাত্র হাসপাতালের বাইরে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বছর ছাব্বিশের তরুণী। আচমকাই বেপরোয়া গতিতে তাঁর সামনে চলে আসে একটি বাইক। তরুণীর উদ্দেশে কটূক্তি করেই তীব্র গতিতে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করতেই ওই বাইকের ধাক্কায় কয়েক ফুট দূরে ছিটকে পড়েন ওই তরুণী।
বৃহস্পতিবার ভর সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালের সামনে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, মাথায় চোট পেয়েছেন মৌমিতা দাস নামের ওই তরুণী। তাঁকে ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিশ জানায়, ওই দুই মোটরবাইক আরোহী চম্পট দিলেও তাদের এক বন্ধুকে ধরে ফেলে পথচারীরা। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, তাঁরা সকলেই লিলুয়ার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। পলাতক অভিযুক্ত যুবকেরা হল, বর্ধন কুমার ও অভিষেক কুমার। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান, এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ শ্রমজীবী হাসপাতালের গেটের সামনে জিটি রোড পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন মৌমিতা। সেই সময় বেলুড় মঠের দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে রেস করে ছুটে আসছিল দুটি বাইক।
অভিষেকদের বাইকটি মাঝ রাস্তা ছেড়ে আচমকাই হাসপাতালের ফুটপাথের সামনে চলে আসে। তাতেই ভয় পেয়ে যান মৌমিতা। এর মধ্যেই তাঁকে কটূক্তি করে পালাতে গিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে বাইকটি। জিটি রোডে প্রায় ৫ ফুট দূরে ছিটকে যান ওই তরুণী। তাঁর মাথার পিছনে ও বাঁ পায়ে চোট লাগে। মৌমিতার এক দাদা রজত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সকলে ছুটে গিয়ে বাইকটাকে ধরি। দুই যুবকই নেশাগ্রস্ত ছিল। কিন্তু ওরা আমাদের হাত ছাড়িয়ে বাইকের গতি বাড়িয়ে চম্পট দেয়। পিছনে থাকা ওদের আর এক সঙ্গীকে অবশ্য ধরে ফেলি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy