পুর-নির্বাচনের আগে একশো দিনের কাজে নতুন করে আরও ২৮০০ কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল পুর প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ নগর রোজগার যোজনায় (ওয়েস্ট বেঙ্গল আর্বান এমপ্লয়মেন্ট স্কিম) কলকাতা শহরে ১৪১টি ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই সাড়ে ১৩ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন পুরসভায়। তার উপর ফের কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার অন্দরে। যদিও পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, কাজের চাপ বেড়ে যাওয়াতেই নতুন করে কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, স্রেফ দলীয় স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার মেয়র পরিষদের বৈঠকে কর্মী নিয়োগের ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন যাঁরা রয়েছেন, জঞ্জাল অপসারণই তাঁদের মূল কাজ। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ দফতর) দেবব্রত মজুমদার এ দিন জানান, শহরে জঞ্জাল অপসারণে কাজের চাপ বেড়েছে। জোকা ১ এবং ২ নম্বর অঞ্চল কলকাতা পুরসভার অধীনে আসায় আরও তিনটি ওয়ার্ড বেড়েছে। এ ছাড়া, শহরের বেশ কয়েকটি কানেক্টর, রাস্তা, সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ পুরসভার হাতে আসায় লোক বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। যদিও বিরোধী দলনেত্রী রূপা বাগচীর কথায়, “ভোটের আগে দলীয় কাজে লোকবল বাড়াতেই ওই নিয়োগের সিদ্ধান্ত।”
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে ওয়ার্ড পিছু ওই যোজনার শ’খানেক কর্মী জঞ্জাল অপসারণের কাজ করছেন। এর উপর আবার রয়েছেন পুরসভার জঞ্জাল দফতরের স্থায়ী কর্মীরা এবং স্বাস্থ্য, উদ্যান-সহ বিভিন্ন দফতরের লোকজনও। তা সত্ত্বেও এত লোকের প্রয়োজন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে পুর-মহলে। কেউ কেউ বলছেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে জঞ্জাল অপসারণে স্বয়ংক্রিয় কমপ্যাক্টর যন্ত্র বসানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। তার পরেও এত এত লোক লাগানোর কোনও প্রয়োজনই নেই। এ বিষয়ে মেয়র পারিষদ দেবব্রতবাবু বলেন, “সকাল-দুপুরে যেমন জঞ্জাল অপসারণের কাজ হয়, এ বার সেই কাজ চলবে সন্ধ্যাতেও।” ভোটের আগে দলীয় স্বার্থ নিয়ে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিরোধীরা তো ও সব বলেই থাকেন। কি আর বলব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy