Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

নিউ টাউনে ডেঙ্গিতে মৃত্যু, প্রশ্নে প্রশাসনের ভূমিকা

এই মৃত্যু ঘিরে নিউ টাউনে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এনকেডিএ) অবশ্য দাবি, মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে তাঁরা যথেষ্ট তৎপর।

অস্বাস্থ্যকর: নিউ টাউনের বলাকা আবাসন সংলগ্ন জায়গায় আগাছার জঙ্গল ও জমা জল। নিজস্ব চিত্র

অস্বাস্থ্যকর: নিউ টাউনের বলাকা আবাসন সংলগ্ন জায়গায় আগাছার জঙ্গল ও জমা জল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০২
Share: Save:

মাত্র দু’সপ্তাহ ধরে এক গৃহবধূ নিউ টাউনে ডিসি ব্লকে থাকছিলেন। সে সময়ের মধ্যেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। সোমবার দুপুরে ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

এই মৃত্যু ঘিরে নিউ টাউনে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এনকেডিএ) অবশ্য দাবি, মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে তাঁরা যথেষ্ট তৎপর। সচেতনতার প্রচারে যেমন বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমনই পতঙ্গবিদ এবং গবেষকদের একাংশ নিউ টাউনের বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করে পরামর্শও দিচ্ছেন। সেই অনুযায়ী মশা দমনে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। মশা মারার অভিযানে গিয়ে কর্মীরাও নিয়মিত কাজ করছেন। যেখানে কাজ হয়, সেখানকার বাসিন্দাদের দিয়ে সাক্ষর করানোর পাশাপাশি কর্মীদের উপরে নজরদারিও থাকে।

স্থানীয়দের একটি অংশের কথায়, এলাকায় মশার উপদ্রব আগের তুলনায় কমেছে। মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের আরও তৎপরতা প্রয়োজন। যদিও বাসিন্দাদের বড় অংশ মনে করছে, এনকেডিএ-র কর্মীরা সব জায়গায় কাজ করছেন, এমনটা ঠিক নয়। যেমন, অ্যাকশন

এরিয়া ১ এলাকায় বলাকা আবাসনের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে ফাঁকা জমিতে জল জমে রয়েছে। ওই আবাসন থেকে ডিসি ব্লক বেশি দূরে নয়। সেই ব্লকের কোথাও কোথাও আবর্জনা জমে থাকার কথাও বলেছেন বাসিন্দারা। এর কাছাকাছি বিশ্ব বাংলা গেট। যেখান থেকে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে মহিষগোট, থাকদাঁড়ি-সহ কয়েকটি এলাকায় জ্বরের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল।

নিউ টাউনের বিভিন্ন জায়গায় চলা নির্মাণকাজেও নজরদারির প্রয়োজন বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। যদিও এনকেডিএ-র এক শীর্ষ কর্তার দাবি, মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে ওই সব জায়গাতেও নিয়মিত কাজ হচ্ছে। যে সব এলাকায় কর্মীরা কাজ করেন, সেখানকার বাসিন্দাদের সাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। রয়েছে নজরদারিও। ওই কর্তা জানান, নাগরিক সভা, হোর্ডিং-এর মাধ্যমে সচেতনতার প্রচার চলছে। এ ছাড়াও এক পতঙ্গবিদ গবেষণারত ছাত্রদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করে মশার উৎসস্থল খুঁজে বার করেন। মশা দমনে পরামর্শও দেন তিনি, সেই অনুযায়ী কাজ হয় বলে জানাচ্ছেন এক শীর্ষ কর্তা।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Woman Dengue Newtown NKDA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy