অভিযুক্ত চিকিৎসক দেবাংশী সাহা নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা পড়েছে স্বাস্থ্যভবনে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, একাধিক নিয়ম ভেঙেই ওই ইঞ্জেকশন তুলে নিয়েছিলেন চিকিৎসক দেবাংশী সাহা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত চিকিৎসক দেবাংশীর সঙ্গে কথা বলেছে তদন্ত কমিটি।
তা হলে এই ইঞ্জেকশন তোলা ও ব্যবহারের নিয়মটা ঠিক কী? সরকারি নিয়ম বলছে, যদি কোনও রোগীর টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন হয় তবে রোগী যে চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি রয়েছেন, হয় তিনি এই ইঞ্জেকশন লিখবেন, না হলে সিসিইউ ইনচার্জ বা সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার বা আরএমও-লিখবেন। এর পর নোটে এই ওষুধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে লিখতে হবে। সেটা থেকে মেডিসিন কার্ডে তোলা হবে। ইঞ্জেকশন আসার পর সিস্টার-ইন-চার্জ ইনডেন্ট বুকে লিখে রোগীকে তা দেবেন। রোগীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ইনডেন্ট বুকে লিখতে হবে। কর্তব্যরত চিকিৎসককেও স্বাক্ষর করতে হবে ইনডেন্ট বুকে। একটা সিসিইউ-তে এই ইঞ্জেকশন না থাকলে অন্য সিসিইউ থেকে তা নেওয়া যায়। তবে তা লোন-শিটে লিখতে হবে। পরে যেখান থেকে নেওয়া হচ্ছে সেখানে ফিরিয়ে দিতে হবে।
কিন্তু, এ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, একাধিক নিয়ম ভেঙেই ওই ইঞ্জেকশন তুলে নিয়েছিলেন চিকিৎসক দেবাংশী সাহা। প্রথমত প্রেসক্রিপশনের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে প্যাথোলজি বিভাগের নমুনা পরীক্ষার ফর্ম। সেটাকেই বানানো হয়েছে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন। এ ছাড়াও কোনও মেডিক্যাল অফিসার বা হাউস স্টাফের স্বাক্ষরের ভিত্তিতে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন দেওয়া যায় না। এই ইঞ্জেকশন নিতে গেলে সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার বা আরএমও-র স্বাক্ষর দরকার। কিন্তু সে সব কিছুই ছিল না। অভিযোগ, চিকিৎসক দেবাংশী সাহা প্রভাব খাটিয়ে সরাসরি সিসিইউ-তে ডিউটিরত নার্সের কাছ থেকে ইঞ্জেকশন নিয়ে নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy