প্রতীকী ছবি।
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যাত্রী পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, এমন সব গাড়িকে চলতি মাস থেকে ভেহিকল্ লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইসের (ভি এল টি ডি) আওতায় আনার কথা জানিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর।অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থাগুলি এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যায় ওই যন্ত্রের জোগান নিশ্চিত করতে পারেনি। বিভিন্ন সংস্থার তৈরি যন্ত্র এখনও সরকারি ভাবে পরীক্ষার পরে প্রয়োজনীয় স্বীকৃতি পায়নি বলেও দাবি। ফলে চলতি ডিসেম্বর থেকে ওই যন্ত্র সচল করার সময়সীমা কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত সম্প্রতি নিয়েছে পরিবহণ দফতর।
২০১৯ সালের আগে নথিভুক্ত গাড়ির ক্ষেত্রে সেটির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র নেওয়ার সময়ে ভি এল টি ডি যন্ত্র বসানো ছাড়াও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে প্যানিক বাটন লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল আগের নির্দেশিকায়। ওই শর্ত পূরণ না হলে শংসাপত্র মিলবে না বলেও জানানো হয়েছিল। ২০১৯ সালের পরে নথিভুক্ত গাড়িতে ১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ওই কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছিল। বাস্তবে কাজ কার্যত শুরু না হওয়ায় গত বুধবার নতুন নির্দেশিকা জারি করে গাড়ির স্বাস্থ্যের শংসাপত্র পেতে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছে পরিবহণ দফতর। যে সব গাড়ির স্বাস্থ্যের শংসাপত্রের মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে, তাদের মালিকেরা ৩১ মার্চের মধ্যে ওই কাজ শেষ করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে তাঁদের গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়া আটকাবে না।
বেসরকারি পরিবহণ সংগঠন সূত্রের খবর, ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করে ওই যন্ত্র বসানোয় আপত্তি রয়েছে বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনের প্রতিনিধিদের। তাঁরা কম খরচে যন্ত্র উদ্ভাবনের পাশাপাশি নতুন গাড়ি কেনার সময়ে ওই যন্ত্রের সুবিধা থাকার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার দাবি তুলেছেন।
‘অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’ এবং ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন অ্যাপ-ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর তরফে রাহুল চট্টোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কম খরচে ওই যন্ত্র উদ্ভাবন জরুরি। আর্থিক মন্দার পরিস্থিতিতে বেসরকারি বাসমালিকদের সরকার ভর্তুকি দিয়ে ওই যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করুক বলেও দাবি তাঁদের। ‘সিটি সাবার্বান সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘এ নিয়ে অনর্থক তাড়াহুড়ো না করে ধীরে-সুস্থে ওই যন্ত্র বসানোর ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিক সরকার।’’
বাস্তবে ছবিটা হল, ওই ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য কন্ট্রোল রুম-সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। তাই সময় নিয়ে ওই ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy