স্বাস্থ্য ভবন। —ফাইল চিত্র।
বছর দুয়েক আগে শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি। অবশেষে সেটি চূড়ান্ত করল রাজ্য। ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন বা পকসো মামলায় নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার পরে যে রিপোর্ট জমা করতে হয়, তার জন্য ছোট ও সুসংহত দু’পাতার রিপোর্টপত্র প্রকাশ করল স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালকে ওই রিপোর্টপত্র ব্যবহারের নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। পকসো মামলা এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ডাক্তারি পরীক্ষার যে নিয়মগুলি (এসওপি) মেনে চলা বাধ্যতামূলক, তা-ও এক বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
দিল্লির নির্ভয়া-কাণ্ডের পরে ২০১৪ সালে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যেটির ৮৩ থেকে ৯৭ নম্বর পাতা পর্যন্ত ছিল রিপোর্টপত্রের নকশা (ফরম্যাট)। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টপত্রটি ১৬ পাতার হলেও স্পষ্ট ভাবে সেটি ছাপতে গিয়ে ৩০ পাতা হয়ে যেত। ফলে, তা নির্ভুল ভাবে পূরণ করতে চিকিৎসকদের সময় লাগত। তাতে পুলিশের কাছে রিপোর্ট দেরিতে পৌঁছনোয় তদন্তে সমস্যা হচ্ছিল। রিপোর্ট তৈরিতে ভুলভ্রান্তিরও আশঙ্কা বাড়ছিল।
খসড়া তৈরির কাজ করেন রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের দুই শিক্ষক-চিকিৎসক সোমনাথ দাস এবং পরাগবরণ পাল। ২০২২ সালের শেষে স্বাস্থ্য দফতরে ওই খসড়া জমা পড়ে। সেটি চূড়ান্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য ভবন। আবার ‘ডিরেক্টরেট অব চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ট্র্যাফিকিং’ আয়োজিত রাজ্য স্তরের একটি সম্মেলনেও রিপোর্টপত্র ছোট করা নিয়ে আলোচনা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্টের নকশার নির্যাস রেখে ছোট ও সুসংহত রিপোর্টপত্র আগেই তৈরি করেছে কয়েকটি রাজ্য। সেই পথে হেঁটেই দু’বছর আগে জমা পড়া খসড়ায় সিলমোহর দিল স্বাস্থ্য দফতরও। মূলত তদন্তে প্রয়োজনীয় বিষয়ে বিশেষ জোর দিয়ে রিপোর্টপত্রের নতুন নকশা তৈরি করা হয়েছে। সোমনাথ ও পরাগবরণ বলছেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে দ্রুত ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট জমা পড়া জরুরি। খেয়াল রাখা প্রয়োজন, সেটি যেন সুসংহত ও নির্ভুল হয়। কিন্তু একগাদা পাতার রিপোর্ট তৈরিতে সমস্যা হচ্ছিল। এ বার দু’পাতার ওই রিপোর্টপত্রে সমস্যা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy