যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠনের বিজ্ঞপ্তি। — নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এ বার তৎপর রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষা দফতর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রুটি খুঁজতে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। চার সদস্যের ওই কমিটি আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে যাদবপুর নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে রিপোর্ট জমা দেবে।
বৃহস্পতিবার উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যেই প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্র র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু প্রশাসনিক ত্রুটি এবং পরিকাঠামোগত ফাঁকফোকর রাজ্য সরকারের নজরে এসেছে। সেই গলদগুলি খুঁজে বার করা এবং সমস্যার সমাধান করার উদ্দেশ্যে উচ্চ শিক্ষা দফতর একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে।
এই কমিটিতে মোট চার জন সদস্য থাকছেন। তাঁরা হলেন উচ্চ শিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারপার্সন, উচ্চ শিক্ষা দফতরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিশেষ কমিশনার, রাজ্যের ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন এবং উচ্চ শিক্ষা সংসদের সদস্য-সচিব।
বিজ্ঞপ্তি জারি করার সঙ্গে সঙ্গে কমিটি তার কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। দু’সপ্তাহের মধ্যে কমিটি তাদের এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দফতরে জমা দেবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নদিয়া থেকে পড়তে আসা বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের (স্নাতক) ছাত্র গত ৯ অগস্ট হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু পরের দিন সকালেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। হস্টেলে তিনি র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট নয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যাদবপুরের প্রাক্তনী এবং বর্তমান ছাত্রেরা। তাঁদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রমৃত্যুর বিচার চেয়ে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও কেন সিসি ক্যামেরা নেই, কেন পরিচয়পত্র দেখা হয় না প্রভৃতি প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy