কলকাতায় আবার রহস্যমৃত্যু। সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হল বাড়ি থেকে। ঘরের ভিতর বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করেছে। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মালবিকা মিত্র। পাটুলির বিদ্যাসাগর কলোনিতে ছেলের সঙ্গে থাকতেন তিনি। তাঁর ছেলের বয়স ৩২ বছর এবং তিনি একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। বৃদ্ধার প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই বাড়ি থেকে তাঁরা ধোঁয়া বার হতে দেখেন। ধোঁয়া দেখে সন্দেহ হওয়ায় সেখানে যান কয়েক জন। তাঁরা দেখেন, ঘরের ভিতরে পড়ে আছেন বৃদ্ধা। তাঁর গায়ে আগুন ধরে গিয়েছে। তাঁর মুখের উপর একটি বালিশ চাপা দেওয়া ছিল বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। ঘরের ভিতরে আলমারি ছিল খোলা।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রতি দিন বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করেই কাজে যেতেন বৃদ্ধার ছেলে। বুধবারও তেমনটাই করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। কলকাতা পুলিশের সায়েন্টিফিক উইংয়ের সদস্যেরাও পাটুলিতে গিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তাঁর দেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কী ভাবে ওই ঘরে আগুন লাগল, কেনই বা আলমারি খোলা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।