Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Rajpur Sonarpur

Rajpur-Sonarpur: মিউটেশনের ফাইল বাড়ি নিয়ে গিয়ে বিতর্কে পুর ভাইস চেয়ারম্যান

ভাইস চেয়ারম্যান অবশ্য দাবি করেন, ‘‘আমার নিয়মটা জানা ছিল না। সেই কারণে সব ফাইল বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। ভুল হয়েছে।’’

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ ০৬:১৬
Share: Save:

শহর লাগোয়া রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় যেন দক্ষিণ দমদমের ছায়া।

দলীয় কাউন্সিলরদের বোর্ড মিটিংয়ে কাঠগড়ায় রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মোফারজ্জল হোসেন (ভুলু)। দক্ষিণ দমদমে বোর্ড গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার প্রায় একই চিত্র দেখা গিয়েছে রাজপুর-সোনারপুরে।

বেশ কয়েক জন কাউন্সিলর অভিযোগ তোলেন, ওয়ার্ড-ভিত্তিক মিউটেশনের আবেদন করেছেন নাগরিকেরা। কিন্তু দীর্ঘ দিন পরেও সদর দফতর থেকে ওয়ার্ড অফিসে ফাইল পাঠানো হচ্ছে না। এর পরেই জানা যায়, ভাইস চেয়ারম্যান সব ফাইল বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। এতে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেন কাউন্সিলরেরা। অস্বস্তিতে পড়েন চেয়ারম্যান পল্লব দাসও। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ নথি বাড়ি নিয়ে যাওয়াটা অবৈধ।

পুরসভা সূত্রের খবর, ভাইস চেয়ারম্যান মিউটেশন দফতরের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু আবেদন যাচাই করে অনুমোদন দেন এগ্‌জিকিউটিভ অফিসার। তা অফিসেই হয়ে থাকে।

পুরসভা সূত্রের খবর, অভিযোগের সামনে ভাইস চেয়ারম্যান মোফারজ্জল হোসেন দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু কাউন্সিলরদের প্রশ্ন, ওই রকম দায়িত্বপূর্ণ একটি পদে থাকা সত্ত্বেও চেয়ারম্যানের বিনা অনুমতিতে ৫০টিরও বেশি ফাইল তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন কোন যুক্তিতে?

পুরসভা সূত্রের খবর, দিনকয়েক আগে সমস্ত ফাইল এক আত্মীয়ের গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যান ভাইস চেয়ারম্যান। প্রশ্ন উঠেছে, বিষয়টি কারও চোখে পড়ল না কেন?

অফিসারদের একাংশের অভিযোগ, মোফারজ্জল ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই তাঁদের ধমকাতে শুরু করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থী। বেচাল দেখলে সরাসরি তাঁকে জানাবেন— এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। তাই ভয়ে সকলে চুপ ছিলেন।

অতীতের বাম বোর্ডের এক প্রাক্তন কর্তা বললেন, ‘‘মিউটেশনের অনুমোদনের ক্ষেত্রে নানা দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। আবেদনে ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে তা শুধরে দেওয়ার জন্য টাকা চাইতে পারেন কেউ। দুর্নীতি যাতে প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্যই হয়তো ফাইল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’’

স্থানীয় বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, ‘‘টিকিট পাওয়া থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে ভোটে জেতা, সব মিলিয়ে খরচ ভালই হয়েছে। সেই খরচ তুলতেই পুরকর্তারা দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন। ’’

ভাইস চেয়ারম্যান অবশ্য দাবি করেন, ‘‘আমার নিয়মটা জানা ছিল না। সেই কারণে সব ফাইল বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। ভুল হয়েছে।’’

চেয়ারম্যান পল্লববাবু বলেন, ‘‘ভাইস চেয়ারম্যান ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Rajpur Sonarpur Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy