প্রতীকী চিত্র।
অতিমারির এই সময়ে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করার চল বেড়েছে। কোনও কোনও সংস্থা এই পদ্ধতিকে নীতির মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করেছে। সেই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়েই এ বার সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরের নবদিগন্ত শিল্পতালুকে কর্মসংস্থান তৈরির কথা ভাবছে নগরোন্নয়ন দফতর। সোমবারই নবদিগন্তের সঙ্গে নির্মাণ সংস্থাগুলির সংগঠন ‘কনফেডারেশন অব রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’ (ক্রেডাই)-র বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বৈঠকে।
‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিকে কী ভাবে কর্মক্ষেত্রের বিকাশের কাজে লাগানো যেতে পারে, তা নবদিগন্তের তরফে তুলে ধরা হয়। চন্দ্রিমা মঙ্গলবার বলেন, ‘‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে সব কর্মী প্রতিদিন অফিসে যাচ্ছেন না। ফলে কিছুটা জায়গা খালি পড়ে থাকছে। সেই জায়গা অন্য কোনও সংস্থা কাজে লাগালে সেখানে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতে পারে। আমরা নির্মাণ সংস্থাগুলিকে বলেছি, তারাও বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে ডাকুক। কর্মসংস্থান তৈরি করতে রাজ্য সব সময়েই উৎসাহী।’’
নবদিগন্তের আধিকারিকেরা জানান, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে অনেক অফিসেই খালি জায়গা পড়ে রয়েছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ফাঁকা জায়গায় অন্য সংস্থা ব্যবসা করতেই পারে। তাদেরও অনেক কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেন। এতে যাদের জায়গা, তারাও আর্থিক ভাবে লাভবান হবে, অন্য দিকে, একটি নতুন সংস্থারও ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’’
এই ভাবনার মধ্যে ইতিবাচক দিক রয়েছে বলে মনে করছে ক্রেডাই-ও। একটি সমীক্ষা করে তারা দেখেছে, প্রতি ১০০ বর্গফুট জায়গা একটি করে চাকরির সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। তারা জানাচ্ছে, ‘কো-ওয়ার্কিং’ সেন্টারের চল অতিমারির সময়ে শিল্পতালুকে শুরু হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন বহুতলের ছোট ছোট জায়গা, কয়েকটি ডেস্ক কিংবা কমন কনফারেন্স রুম ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছে কোনও কোনও সংস্থা।
তবে ক্রেডাই নবদিগন্ত তথা নগরোন্নয়ন দফতরকে প্রস্তাব দিয়েছে, কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে শিল্পতালুকে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে অন্য ব্যবসাকেও জায়গা দিতে হবে।
কলকাতা-সহ ক্রেডাইয়ের চারটি চ্যাপ্টারের সভাপতি সুশীল মোহতার কথায়, ‘‘তথ্যপ্রযুক্তি এখন যে কোনও ব্যবসাতেই শিরদাঁড়ার মতো। এর সঙ্গে সাধারণ ব্যবসার পার্থক্য অনেকটাই কমে গিয়েছে। কো-ওয়ার্কিং সেন্টার বাড়ছে। কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য শিল্পতালুকে অন্য ব্যবসার ক্ষেত্রও তৈরি করার দরকার পড়ছে।’’
ক্রেডাই প্রস্তাব দিয়েছে, অনলাইনে বহুতলের নকশা এবং লাইসেন্স-সহ বিভিন্ন নথিপত্রের অনুমোদনের বিষয়টি নবদিগন্তেও এক জানলা ব্যবস্থায় হোক। তাতে ব্যবসায় উৎসাহ বাড়বে। তাদের প্রস্তাব, পাঁচ নম্বর সেক্টরের অব্যবহৃত ফাঁকা জমিতে শিল্পের পাশাপাশি ২৫ শতাংশ আবাসিক এলাকা তৈরি করার অনুমতি দিক সরকার। যাতে সেখানকার বাসিন্দারা হেঁটেই কর্মস্থলে পৌঁছতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy