এমন নির্মীয়মাণ আবাসনগুলিই এখন মাথাব্যথার কারণ পুর প্রশাসনের। এ পি সি রোডে। নিজস্ব চিত্র
ফের নির্মীয়মাণ আবাসনগুলি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা পুর প্রশাসনের। বৃষ্টির কারণে থেকে থেকেই সেখানে জল দাঁড়াচ্ছে। ফলে মশার বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়ছে। বরো বৈঠকের আলোচনাতেও তাই নির্মীয়মাণ আবাসনে জল জমার বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই একাধিক বরো চেয়ারম্যান এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন।
যেমন ছয় নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সঞ্চিতা মণ্ডল বলছেন, ‘‘ডেঙ্গি লড়াইয়ে নির্মীয়মাণ আবাসনগুলিতে বৃষ্টির জল জমে থাকছে। অনেক সময়েই সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। বারবার বলার পরেও জল পরিষ্কার করা হচ্ছে না।’’ পুর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, এমনিতে নির্মীয়মাণ বাড়িতে মশার বংশবৃদ্ধির ঘটনা নতুন কিছু নয়। সে কারণে আগে একাধিক বার ওই সব জায়গায় অভিযানও চালিয়েছে পুরসভা। তা সত্ত্বেও সুরাহা হয়নি। এক বরোর চেয়ারম্যানের কথায়, ‘‘বারবার বলেও নির্মীয়মাণ আবাসনে মশার বিস্তার আটকানো যাচ্ছে না। ছোট বাড়ির ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু যেখানে বড় বড় আবাসন হচ্ছে, সেখানে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।’’ এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহার বক্তব্য, ‘‘যে নির্মীয়মাণ আবাসনগুলিতে লিফট হচ্ছে, সেখানে বেশি জল জমছে। অভিযানের সময়ে সেই জায়গাগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’’ দীর্ঘদিন ধরে তালাবন্ধ বাড়িও মশার বংশবিস্তারে পুর প্রশাসনের চিন্তার কারণ হয়েছে। সে সব জায়গায়ও নিয়মিত অভিযান হচ্ছে বলে পুরসভার দাবি।
পুর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, জল বা আবর্জনা জমিয়ে মশার বংশবিস্তারে সাহায্য করলে সংশ্লিষ্ট জমি বা বাড়ির মালিককে ৪৯৬ (এ) ধারায় জরিমানা করার ক্ষমতা রয়েছে পুর প্রশাসনের। গত বছরই পুর আইনে এই সংশোধনী আনা হয়েছে। তার আগে বাড়িতে জল জমিয়ে রাখলে কলকাতা পুর আইনের ৪৯৬ নম্বর ধারায় জরিমানা বা শাস্তির নিদান ছিল না। খুব বেশি তিন বার নোটিস পাঠাত পুরসভা। ফলে মিউনিসিপ্যাল কোর্টে আবেদন করে কোথাও ৫০ টাকা, কোথাও বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করতে পেরেছে পুরসভা। সংশোধনীতে ৪৯৬ (এ) ধারায় পুরসভাকে সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায়ের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই নোটিসের ফলে অনেক ক্ষেত্রে সাড়া মিলছে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘জরিমানার ভয়ে কিছু হলেও কাজ হচ্ছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অনেক জায়গায় জমা জল পরিষ্কার হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy