এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দু’টি পা বেঁধে বস্তায় ভরে এক ব্যক্তিকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল গঙ্গায়। যার জেরে জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রায় এক মাস আগে হাওড়ার জেটিয়া ঘাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দেহটি। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে আসে, ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। সেই মতো
খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ফলে, জট কাটেনি খুনের রহস্যেরও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের গোড়ার দিকে হাওড়ার বালির কাছে জেটিয়া ঘাট সংলগ্ন গঙ্গা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় এক পুরুষের দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি ঢাকা ছিল দু’টি বস্তা দিয়ে। নীচের দিকের বস্তায় বাঁধা ছিল মৃতের পা দু’টি। ডান হাতে ছিল লাল দাগা। জলে থাকায় দেহে পচন ধরে গিয়েছিল। উত্তর বন্দর থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। পুলিশের দাবি, তার প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে আসে, কয়েক দিন আগে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথায় একাধিক ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একাধিক ক্ষতচিহ্ন মিলেছে পিঠে ও হাতেও। প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশ আরও জানতে পারে, ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করে অজ্ঞান করে দেওয়ার পরে পা বেঁধে তাঁকে ঢোকানো হয় বস্তায়। এর পরে বস্তার মুখ বেঁধে সেটি গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়।
লালবাজার জানিয়েছে, দেহটি শনাক্ত করার জন্য ওই ব্যক্তির ছবি রাজ্যের সব থানায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি জানানো হয়েছে গঙ্গার পার্শ্ববর্তী সব থানাকেও। এর পাশাপাশি, মৃতের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে লিফলেট ছাপিয়ে তা বিতরণ করা হয়েছে হাওড়া স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, বিভিন্ন ফেরিঘাট, জনবহুল বাজার ও আশপাশের এলাকায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রের খবর।
এক পুলিশকর্তা জানান, দেহটি শনাক্ত না হওয়ায় তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত তো হচ্ছেই। তবে, নিয়ম মেনে দেহটির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় দেহাংশ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy