নতুন সেতু পরিদর্শন করে দেখছেন কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —নিজস্ব চিত্র।
বেহালা, টালিগঞ্জ এবং হরিদেবপুর এলাকার মানুষকে যানজটের হাসফাঁস অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে চায় কেএমডিএ। সে কারণে পুজোর আগেই যান চলাচলের জন্য নতুন দু’টি সেতু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তারা।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর, যানজট যন্ত্রণা ওই এলাকার মানুষের রোজকার সঙ্গী। মাঝেরহাটের বিকল্প হিসাবে সাময়িক রেহাই দিতে নগরোন্নয়ন দফতর আনোয়ার শাহ রোড এবং করুণাময়ী এলাকায় টালি খালের উপর দু’টি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা-সহ কলকাতার শীর্ষ পুলিশ কর্তারা মেয়র তথা রাজ্য নগরোন্নয় দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ওই দু’টি সেতু দেখতে যান। তার পরেই ওই সিদ্ধান্তের কথা জানায় কেমডিএ।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে রাজীব মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে শুক্রবার
আরও পড়ুন: বিজেপি যুব মোর্চার সিইএসসি অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, পুলিশের জলকামান-কাঁদানে গ্যাস
আনোয়ার শাহ রোডের কাছের সেতুটি দেশপ্রাণ শাসমল রোডকে এম আর বাঙুর হাসপাতালের কাছে বিএল সাহা রোডকে যুক্ত করবে। রাস্তাটি যাবে কালী প্রসন্ন রায় লেন হয়ে। ওই সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এবং টলি ক্লাবমুখী যান চলাচল অনেক দ্রুত এবং মসৃণ হবে বলে মনে করছেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক শাখার আধিকারিকরা। অন্য দিকে, দ্বিতীয় সেতুটি তৈরি করা হয়েছে আদি গঙ্গার উপর করুণাময়ীতে। সেখানে এখন একটি সেতু রয়েছে। দ্বিতীয় সেতুটি খুলে দেওয়া হলে, বেহালার মহাত্মা গাঁধী রোডমুখী যান চলাচল অনেকটাই মসৃণ হবে। যানজটও কমবে বলে দাবি পুলিশের।
বুধবার দুপুরে দু’টি সেতুই ঘুরে দেখেন মেয়র। তিনি ইঞ্জিনিয়রদের নির্দেশ দেন, পুজোর আগেই দু’টি সেতুকেই যানচলাচলের জন্য খুলে দিতে। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে দু’টি সেতুতেই। অন্য দিকে, করুণাময়ী সেতুর এক প্রান্তে একটি পুরনো মন্দিরের দেওয়াল রয়েছে। ফলে সেতুর ওই প্রান্তটি সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। মেয়র এ বিষয়ে আলোচনা করেন পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে। বিএল সাহা রোডের সেতুর ইজাজতুল্লা লেনের দিকের প্রান্তেও একটি পুজো ঘিরে সমস্যা তৈরি হয়েছে। পুজোটি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের উপর হয়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এ দিন বলেন, ‘‘ওই পুজো নিয়ে সমস্যা হবে না। আমরা কথা বলেছি। পুজো হবে। পুজোর জন্য অন্য জায়গা দেওয়া হবে। পুজোও হবে, সাধারণ মানুষেরও কোনও অসুবিধা হবে না।” কেএমডিএ সূত্রের খবর, টলি ক্লাবের সঙ্গে পুলিশ এবং পুরসভার কথা হয়েছে। টলি ক্লাবের জমিতেই স্থানান্তরিত করা হবে ওই পুজো।
করুণাময়ী থেকে এ দিন মন্ত্রী চেতলা লকগেট উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের তদারকি করতেও যান। মেরামতের জন্য ওই সেতু বন্ধ। তবে পুজোর আগে ওই সেতু আদৌ খোলা সম্ভব কি না তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মেয়র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy