Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

রেললাইন থেকে উদ্ধার দু’টি দেহ

যদিও তদন্তকারীদের অনুমান, ট্রেনের ধাক্কায় ওই দু’টি মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দু’টি দেহই ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৮ ০২:১৯
Share: Save:

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কয়েক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই উদ্ধার হল দু’টি মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ মেন শাখার দমদম এবং শিয়ালদহ স্টেশনের মাঝখান থেকে। তবে রাত পর্যন্ত দেহ দু’টি শনাক্ত করা যায়নি বলে রেলপুলিশ সূত্রের খবর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।

যদিও তদন্তকারীদের অনুমান, ট্রেনের ধাক্কায় ওই দু’টি মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দু’টি দেহই ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রেলপুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ বিধাননগর স্টেশনের কাছে এক নম্বর আপ লাইন থেকে এক মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মাঝবয়সি ওই মহিলার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা দেহটি পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন বিধাননগর রেলপুলিশে। তারা এসে দেহটি উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ওই ঘটনার ঘণ্টা তিনেক পরেই রেলপুলিশের কর্মীদের কাছে খবর আসে, দমদম এবং কাঁকুড়গাছির মধ্যে ডাউন লাইনে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবকের দেহটি পড়েছিল চার নম্বর লাইনে। পুলিশের অনুমান, ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। রাত পর্যন্ত যুবকের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। এ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা না কি অন্য কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রেল সূত্রের খবর, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের লাইনে প্রতি বছর গড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। অসতর্ক অবস্থায় রেললাইন পারাপারের সময়ে ট্রেনে কাটা পড়া ছাড়াও ট্রেনে ওঠা-নামার সময়ে পড়ে গিয়েও দুর্ঘটনা ঘটে। রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই সব দুর্ঘটনার জন্য রেললাইন ঘেঁষে থাকা অবৈধ দখলদারদের বসতি গড়ে ওঠাকে দায়ী করেছেন। প্ল্যাটফর্ম উঁচু করার কাজও বিভিন্ন স্টেশনে ওই কারণেই বাধা পাচ্ছে বলে অভিযোগ রেলের।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “রেললাইনে অসতর্ক অবস্থায় পারাপার বন্ধ করতে রেলের তরফে প্রচার চালানো হয়, জরিমানাও করা হয়। কিন্ত তবু সমস্যা মেটেনি।”

অন্য বিষয়গুলি:

dead bodies Rail Line
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE