—প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতি তিনি পুরনো জায়গায় ফিরেছেন। এ বার চেষ্টা করছিলেন তাঁর ‘কারবার’ও নতুন করে পরিচালনা করতে। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থই হলেন গাঁজার কারবারি বিজয় সাউ। কারণ, পুরনো কারবার চালুর কাজে তাঁকে সাহায্যে করতে আসা দুই পরিচিতই পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন। ঘটনাস্থল বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার চত্বর।
কারা দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে সংশোধনাগারের পিছনের দিকের রাস্তায় বেশ কিছু ক্ষণ ধরে ঘোরাঘুরি করছিলেন আজাদ লস্কর এবং পুতুল গুছাইত। ওই দু’জনকে দেখে সন্দেহ হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ এবং সংশোধনাগারের কর্মীদের। সন্দেহের কারণে আজাদ এবং পুতুলকে আটক করে সংশোধনাগারের অফিসে নিয়ে আসা হয়। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজয়ের নাম জানা যায়। সোনারপুরের বাসিন্দা আজাদ এবং কসবার বাসিন্দা পুতুলের কাছ থেকে কয়েকশো গ্রাম গাঁজা, দু’টি মোবাইল এবং কয়েক হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় আজাদ এবং পুতুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার অভিযুক্তদের বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।
তবে বিজয়ের সঙ্গে পুতুলের সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ, বিজয় এবং পুতুল নিজেদের যোগাযোগ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দাবি করেছেন। তবে পুতুলের দাবি, বিজয়ের এক পরিচিত ওই ব্যাগটি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন। তাই ব্যাগের মধ্যে কী রয়েছে, তা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না। পুলিশ সূত্রের দাবি, গ্রেফতার হওয়া দু’জন দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত।
কারা দফতরের একটি সূত্রের দাবি, বিচারাধীন বন্দি হিসাবে বিজয় দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনাগারে রয়েছেন। এক সময়ে তিনি আলিপুরেও ছিলেন। অভিযোগ, সেখানেও গাঁজার কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিজয়। সেখানে তিনি কার্যত ব্যবসা ফেঁদেছিলেন। বিজয়ের থেকে সংশোধনাগারের বিভিন্ন
জায়গায় গাঁজা যেত বলে অভিযোগ। সে কারণে আলিপুর থেকে বিজয়কে পাঠানো হয় দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। বেশ কয়েক মাস দমদমে থাকার পরে আবার সপ্তাহ তিনেক আগেই বারুইপুরে ফেরেন বিজয়। তার পরে ফের সেখানেই কারবার বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করে তিনি। তবে প্রথমবারের জন্য বিজয় ব্যর্থ হয়েছেন বলেই দাবি কারাকর্তাদের অনেকেরই। একইসঙ্গে বিজয় ওই কারবার পরিচালনার জন্য যে মোবাইল ব্যবহার করতেন, তা-ও বাজেয়াপ্ত করেছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনায় বারুইপুর থানায় বিজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy