নিউ টাউন থেকে দুই ব্যক্তিকে শুক্রবার সকালে অপহরণ করে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে রাতেই অপহৃতদের উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল পাঁচ ব্যক্তিকে। শনিবার ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের নাম বিনোদ রাও, মহম্মদ রিয়াজ আলি, নিকি খুমাল্লামবাম সিংহ, খইরুল রহমান ও ইদ্রিশ আলি। ধৃতদের কাছ থেকে টাকা, অপহরণে ব্যবহৃত গাড়ি, ৩টি নকল পিস্তল উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছিল, অপহৃত এক ব্যক্তি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়। কিন্তু শনিবার পুলিশ জানায়, মণিপুর সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে অপহৃত ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় নন। পুলিশ সূত্রের খবর, নিউ টাউনের বিএ ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে গত এক বছর ধরে কাজের সূত্রে ভাড়া থাকতেন টঙব্রান লুখোই সিংহ। অভিযোগ, শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পাঁচ ব্যক্তি সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে তাঁর ফ্ল্যাটে হানা দেয়। বাড়িতে তখন টঙব্রানের পরিবারের ছ’জন ছিলেন। পিস্তল দেখিয়ে টঙব্রান এবং তাঁর এক সঙ্গী মইরাঙথেম শান্তা সিংহকে ঘর থেকে বার করে আনেন দুষ্কৃতীরা। যাতে কেউ সন্দেহ না করেন তাই বেরোনোর সময়ে তারা কাঁধে হাত রেখে দুই অপহৃতকে নিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁদের পার্ক সার্কাস এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এক অপহৃতের মোবাইল থেকে তাঁর স্ত্রীর কাছে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে গাড়ি চিহ্নিত করে ও মোবাইলের অবস্থান পরীক্ষা করে অপহৃতদের সম্ভাব্য অবস্থান জানতে পারে। সেখান থেকেই অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, টঙব্রান একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান। কাজের সূত্রেই তিনি নিউ টাউনে থাকেন। কিন্তু অপহরণের পিছনে ব্যবসায়িক কারণ নাকি অন্য
রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না তা-ও দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy