—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
যাত্রী-সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে বছর দুয়েক আগে বাণিজ্যিক গাড়ি, অর্থাৎ বেসরকারি বাস, অ্যাপ-ক্যাব এবং স্কুলগাড়িতে অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র (ভেহিক্ল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বা ভিএলটিডি) বসানো বাধ্যতামূলক করেছিল রাজ্য। ওই যন্ত্রের অংশ হিসাবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল লাল আলোর ‘প্যানিক বাটন’ বসানোও। সার্বিক এই
পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল, মহিলা যাত্রী ছাড়াও স্কুলপড়ুয়াদের ক্ষেত্রে কেউ কোনও বিপদের সম্মুখীন হলে তাদের কাছে যাতে দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়। কিন্তু একাধিক পরিবহণ সংগঠনের অভিযোগ, ওই যন্ত্র বসানোর পরে দু’বছর কেটে গেলেও তার কার্যকরী প্রয়োগ এখনও চোখে পড়ছে না।
বস্তুত, পরিবহণ দফতরের তরফে পৃথক কন্ট্রোল রুম তৈরি করে গাড়ির অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র থেকে পাওয়া সঙ্কেত বিশ্লেষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এমন অসংখ্য সঙ্কেত বিশ্লেষণ করে সেগুলির মধ্যে থেকে সম্ভাব্য আপৎকালীন সঙ্কেত চিহ্নিত করার ব্যবস্থাও করা হয়। এর পরে সেগুলি পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, সামগ্রিক এই ব্যবস্থাপনা কার্যকর করার জন্য পুলিশের তরফে যেমন প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়নি, তেমনই অন্য দিকে পরিবহণ দফতর এবং পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের কাজও দু’বছরে বিশেষ এগোয়নি। যার ফল, অ্যাপ-ক্যাব, স্কুলগাড়ি কিংবা বেসরকারি বাস—
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কোথাওই ওই যন্ত্রের কার্যকরী ব্যবহার চোখে পড়েনি। বদলে রাস্তায় গাড়ির উপরে নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে পুলিশ চালু পরিকাঠামো ব্যবহার করে
প্রথাগত নাকা তল্লাশি-সহ অন্যান্য উপায়ের উপরে বেশি নির্ভর করছে বলে খবর।
এ হেন পরিস্থিতিতে অ্যাপ-ক্যাব এবং স্কুলগাড়ির সংগঠন মনে করছে, অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্রের জন্য নিয়মিত ভিত্তিতে তাদের যে টাকা খরচ করতে হচ্ছে, তা অহেতুক বোঝা ছাড়া কিছুই নয়। সংগঠনের অভিযোগ, বছরে ওই যন্ত্রের দু’টি সিম কার্ড-সহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে গাড়ির মালিকদের অতিরিক্ত ছ’হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড। বাস, অ্যাপ-ক্যাব এবং স্কুলগাড়ির সংগঠনের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্সও ওই যন্ত্র বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে পরিবহণ দফতরে। ফোরামের তরফে ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুদীপ দত্ত বলেন, ‘‘ওই যন্ত্রের জন্য টাকা গুনতে হচ্ছে। এ দিকে, বর্ধিত সুরক্ষা মিলছে না।’’
পরিবহণ দফতরের কর্তারা এ নিয়ে সরাসরি মুখ খুলতে চাননি। তবে, সমস্যার কথা পরোক্ষে মেনে নিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy