ভগ্নদশা: এমনই হাল লাইনের। নিজস্ব চিত্র
কোথাও পিচ উঠে গিয়েছে, কোথাও লাইন ভাগ হওয়ার অংশে লোহার পাতের ঢাকনা উধাও। এ ভাবেই শহরের নানা প্রান্তে ট্রামলাইন কার্যত মরণফাঁদ। পরিবহণ নিগমের দাবি, রাতের অন্ধকারে ওই লোহার পাত চুরি হয়ে যায়। পুলিশে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
লেনিন সরণি, বেলগাছিয়া, ডালহৌসি চত্বর, পার্কসার্কাস-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় ট্রামলাইন বিপজ্জনক। ওয়েলিংটনের কাছে ট্রামলাইনের অনেকগুলি দিক রয়েছে। সেখানে একের পর এক ডাইভারশন পয়েন্ট (যেখানে লাইনগুলি বিভিন্ন দিকে ভাগ হয়ে যায়) রয়েছে। মাটির থেকে ইঞ্চি খানেক গভীর সেগুলি। তার নীচে লোহার পাতের সাহায্যে লাইনের গতিমুখ পরিবর্তন করা যায়। ঝুঁকি এড়াতে পরিবহণ নিগমের তরফে গর্তগুলি লোহার পাত দিয়ে ঢাকা থাকে। অভিযোগ, চুরি হয়ে যাচ্ছে সেই সব পাত।
পরিবহণ নিগমের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই নিয়ে আমরাও চিন্তিত। পুলিশকে বারবার অভিযোগ করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। এর জন্যে তো সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ সম্ভব নয়।’’ বেলগাছিয়া ব্রিজের উপরে লাইনের ধারের পিচ ক্ষয়ে গিয়েছে। বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে ট্রামলাইনের পাত।
পার্কসার্কাসের ওরিয়েন্ট রো থেকে ধর্মতলাগামী অটোস্ট্যান্ডের কাছেই ট্রামলাইনের আশপাশ খানা-খন্দে ভর্তি। দক্ষিণের বহু জায়গাতেও ট্রামলাইন বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। বালিগঞ্জের বিজন সেতুর বাঁ দিকে লাইনের নীচে বেরিয়ে রয়েছে পাথর। ওখান দিয়ে যাতায়াত বিপজ্জনক মানছেন পরিবহণের কর্তারাই।
পরিবহণ নিগমের এক কর্তা বলেন, ‘‘শিয়ালদহ উড়ালপুলে ট্রামলাইন মেরামতি শুরু হবে। বেলগাছিয়া সেতুতে ট্রামলাইন মেরামতি শুরু করবে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)। এই কাজে ৮৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। দ্রুত সেই কাজ শুরু হবে। তবে লোহার পাত চুরি আটকানো জরুরি।’’ কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিশাল গর্গ বলেন, ‘‘খোঁজ নিচ্ছি। এ রকম ঘটলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy