ফাইল ছবি
কাজের চাপের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এ বার কলকাতা পুলিশবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেবে ‘ইনস্টিটিউট অব সাইকায়াট্রি’ (আইওপি)। আগামী দিনে এমন কর্মশালায় অন্যান্য বাহিনীকেও অংশ নিতে প্রস্তাব পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে আইওপি। স্বাস্থ্য দফতরও এমন কর্মশালার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
দু’মাসের মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীর এলোপাথাড়ি গুলিতে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে শহরে। তাই প্রতিনিয়ত চাপের মধ্যে থাকা বাহিনীর মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রশিক্ষণ জরুরি বলেই মত মানসিক রোগের চিকিৎসক ও মনোবিদদের। তাঁদের কথায়, ‘‘মানসিক স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে কী ভাবে আত্মহত্যা আটকানো যায়, তার জন্য সরকারি স্তরে ‘গেটকিপার’ প্রশিক্ষণ চালু হয়েছে। সব পেশার লোকজন ও পড়ুয়াদের জন্য সেই প্রশিক্ষণ জরুরি।’’
ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণে জোর দিচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদেরজন্যও এই প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা বুঝেছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সোমবার কলকাতা পুলিশ হাসপাতালের তরফে আইওপি-র কাছে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। আইওপি-রঅধিকর্তা অমিত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ হাসপাতালের তরফে প্রস্তাব এসেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ জন করে দু’টি দলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কলকাতা পুলিশের মাঝারি ও নিচুতলার কর্মীদের। কবে হবে, তা আলোচনার মাধ্যমে স্থির হবে।’’ তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বাহিনীর তরফে এমন কর্মশালার প্রস্তাব আসছে এবং তা করানোও হচ্ছে। তবে তার সংখ্যা বাড়ানোরপরিকল্পনা রয়েছে।
ছুটি, পোস্টিং-সহ একাধিক বিষয়ে পুলিশের একাংশের মধ্যেও হতাশা কাজ করে বলে জানাচ্ছেন বাহিনীর সদস্যেরা। যার ফলেই বার বার সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটছে। তবে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে আতঙ্ক বাড়ছে বাহিনীর মধ্যেও।
সূত্রের খবর, জুনের প্রথম সপ্তাহে সশস্ত্র সীমা বল-এর (এসএসবি) প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ১০০ জন জওয়ানকে নিয়ে দু’টি পর্বে ‘গেটকিপার ট্রেনিং ফর সুইসাইড প্রিভেনশন’-এর কর্মশালার আয়োজন করেছিল আইওপি। তার পরে বিএসএফের প্রস্তাব মতো সোমবার ৩০ জন জওয়ানকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন আট জন মনোবিদ ও মানসিক রোগের চিকিৎসক। অমিত জানান, ১৮ অগস্ট দেশ জুড়ে এসএসবি-র ১০০ জন চিকিৎসককে নিয়ে অনলাইনে ওই কর্মশালা করবেন তাঁরা। তিন মাস অন্তর বিএসএফ-ও এই কর্মশালা করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। শুধু আত্মহত্যার প্রবণতা রোধই নয়, পেশাগত কারণে হতাশা, অবসাদ, নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়া থেকে কী ভাবে মুক্তি মিলবে— তা নিয়েও এই কর্মশালায় আলোচনা হচ্ছে। পাশাপাশি সহকর্মীর মনের অবস্থা বোঝার লক্ষণগুলিও স্লাইড-শোয়ের মাধ্যমে শেখানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy