Advertisement
E-Paper

দেওয়াল লিখনে ‘হুমকি’ যাদবপুরে, প্রতিবাদ

২০০৯ সালে লালগড়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সিপিএম কর্মী শালকুকে হত্যা করা হয়। তাঁর দেহ পার্টি অফিসের সামনে ফেলে রাখা হয় পাঁচ দিন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৩২
Share
Save

প্রায় ১৬ বছর পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের বচসা ঘিরে ফিরল শালকু সরেনের স্মৃতি। ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের অভিযোগ, তাদের বিরোধী ছাত্র সংগঠন দেওয়াল লিখেছে, ‘শালকু ট্রিটমেন্ট টু এসএফআই’। ২০০৯ সালে লালগড়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সিপিএম কর্মী শালকুকে হত্যা করা হয়। তাঁর দেহ পার্টি অফিসের সামনে ফেলে রাখা হয় পাঁচ দিন। দেহ পরিবারকে দাহ করতে দেওয়া হয়নি। ঘটনার দায় মাওবাদীদের উপরেই পড়ে।

যাদবপুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এসএফআই। এই দেওয়াল কারা লিখেছে, তার উল্লেখ লেখায় নেই। কিন্তু আর একটি দেওয়াল লিখনে নকশালপন্থী বিপ্লবী ছাত্র ফ্রন্টের (আরএসএএফ) উল্লেখ আছে। তাতে লেখা, বিরোধী মতের ছাত্রছাত্রীদের ‘লাশ ফেলা’র হুমকি দিলে এসএফআই নেতাদের পরিণতি হার্মাদ পার্থ বিশ্বাসের মতো হবে। ২০১০-এ বেলপাহাড়ির এসএফআই নেতা পার্থকে খুন করা হয়। সেই দায়ও বর্তায় মাওবাদীদের উপরে।

অরবিন্দ ভবনের দেওয়ালে এই দু’টি লেখা দেখা গিয়েছে। গন্ডগোলের সূত্রপাত মঙ্গলবার অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটিতে (আইসিসি) ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের দিন স্থির করার বৈঠক ঘিরে। যা নিয়ে রাতভর ঘেরাও হন সহ-উপাচার্য, ডিন অব স্টুডেন্টস-সহ কয়েক জন। মঙ্গলবার বৈঠকে ছাত্র সংগঠনগুলির একাংশ দাবি তোলে, কমিটির পুনর্গঠন করে নির্বাচন হোক। কিন্তু এসএফআই নির্বাচন আগে করার দাবিতে ঘেরাও শুরু করে। বুধবার কর্তৃপক্ষ জানান, নির্বাচনের দিন ঘোষণার জন্য ৩ মার্চ বৈঠক হবে। এর পরে সকালে ঘেরাও ওঠে।

এ দিন আরএসএফের ইন্দ্রানুজ রায় দাবি করেন, শালকুকে নিয়ে দেওয়াল লিখন তাঁদের নয়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই নৃশংস ঘটনার আমরা বিরোধী। আমরা ওই সব লিখিনি। মনে হয়, এসএফআই-ই লিখেছে।’’ তবে পার্থকে নিয়ে দেওয়াল লিখন তাঁদেরই বলে জানান ইন্দ্রানুজ। তাঁর দাবি, ‘‘এসএফআই কাল মিটিংয়ে জোর করে ঢুকেছে। আমাদের হুমকি দিয়েছে।’’

এসএফআই নেতা শৌর্যদীপ্ত রায় বলেন, ‘‘ক্যাম্পাসে এই সব ছাত্র সংগঠন হুমকি-সংস্কৃতি চালাচ্ছে। পড়ুয়াদের সন্ত্রস্ত করছে। শালকুকে নিয়ে দেওয়াল লিখন অস্বীকার করে কোনও লাভ নেই।’’ এ নিয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে ফোন এবং মেসেজ করেও কথা বলা যায়নি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jadavpur University threat

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}