Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata Doctor Rape and Murder

অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে সন্দীপদের! জামিন খারিজ করে জানিয়েছে আদালত

২৫ সেপ্টেম্বর সন্দীপ এবং অভিজিৎকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করিয়েছিল সিবিআই। জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হতে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।

আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১৭
Share: Save:

আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে, পর্যবেক্ষণ শিয়ালদহ আদালতের। দু’জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। তাঁদের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। শুনানি চলাকালীন বিচারক জানিয়েছেন, দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তাঁদের সামাজিক অবস্থান, প্রভাবও বিবেচনা করা প্রয়োজন।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্দীপ এবং অভিজিৎকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করিয়েছিল সিবিআই। তারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দু’জনকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে চেয়েছিল। কিন্তু আদালত জানায়, কত দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হবে, তা তদন্তকারী সংস্থা ঠিক করে দিতে পারে না। আদালতই তা ঠিক করবে। এর পর ৩০ তারিখ পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। সন্দীপ এবং অভিজিতের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে।

জামিন খারিজ করে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখন পুরোদমে তদন্ত চলছে। অভিজিৎ টালা থানার পুলিশকর্তা ছিলেন। সন্দীপ এক জন চিকিৎসক। তাই তাঁদের সামাজিক অবস্থান এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তাঁদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ রয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। যা কেবল বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনাগুলিতেই দেওয়া হয়ে থাকে। তাই অভিযুক্তদের জামিনে মুক্তি দেওয়া উচিত হবে না।

অভিজিতের আইনজীবী অয়ন ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এখানে সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়টি কী ভাবে আসছে বুঝতে পারছি না। আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দেরিতে করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিবিআই, কিন্তু তা নিয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট ধারাই যোগ করতে পারেনি তারা।’’ উল্লেখ্য, এর আগেও অয়ন আদালতে জানিয়েছিলেন, অভিজিতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি করা হচ্ছে, সেগুলি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা যেতে পারে। সিবিআইয়ের গ্রেফতারি কেন? প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।

আদালতে সন্দীপদের পলিগ্রাফ এবং নারকো পরীক্ষার শুনানির জন্যও আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। ৩০ তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন এই সংক্রান্ত শুনানি হবে শিয়ালদহ আদালতে। এ ছাড়া, এই মামলার শুনানি ক্যামেরার নজরদারিতে করার আবেদন জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, আপাতত খোলা কোর্টেই শুনানি চলবে।

আরজি করে গত ৯ অগস্ট মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সিবিআই পরে গ্রেফতার করেছে হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে।


সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE