(বাঁ দিকে) নিহত সেই স্কুলপড়ুয়া। পড়ুয়াকে খুনে অভিযুক্তেরা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে ছাত্রকে ‘বলি’ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ১১ বছরের কিশোরের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্কুলের উন্নতির জন্য ‘কালাজাদু’ অনুসরণ করে ওই ছাত্রকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাথরসে। শুক্রবার স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক। ওই স্কুল বেআইনি ভাবে চালানো হচ্ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন স্কুলের ম্যানেজারও।
হাথরসের ডিএল পাবলিক স্কুলের ঘটনা। অভিযোগ, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ওই স্কুল চালানোর অনুমতি ছিল। কিন্তু বেআইনি ভাবে তা চলছিল অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। ওই স্কুলের উন্নতিকল্পেই গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্কুলের হস্টেলে এক ছাত্রকে ‘বলি’ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান। স্কুলের এক কর্তার কাছ থেকে ছাত্রের দেহ পান তার বাবা। তিনি এবং তাঁর পরিবারের বাকিরা দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগ, হস্টেলের মধ্যেই নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে কিশোরকে।
হাথরসের এক শিক্ষা আধিকারিক স্বাতী ভারতী শুক্রবার স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি স্কুলের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় রুজু করা হয়েছে মামলা। পুলিশ যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে, তাঁরা হলেন রামপ্রকাশ সোলাঙ্কি, দীনেশ বঘেল, যশধন সিংহ, লক্ষ্মণ সিংহ এবং বীরপাল সিংহ। তাঁরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। হাথরসের সহকারী পুলিশ কমিশনার অশোককুমার সিংহ জানিয়েছেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাথরসের একটি স্কুলে ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীর বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্কুলের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবে।
নিহত ছাত্রের বাবা বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে হস্টেলের মধ্যে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। ওর ঘাড়ের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। ঠোঁট নীল হয়ে গিয়েছিল। আমি দোষীদের ফাঁসি চাই, বিচার চাই।’’ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেছেন, ‘‘’২৩ তারিখ বিকেল ৫টা নাগাদ আমাকে স্কুল ফোন করা হয়েছিল। স্কুল থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব ছ’কিলোমিটার। ওঁরা জানান, আমার ছেলে খুব অসুস্থ। আমি তাকে বাড়িতে নিয়ে আসতে বলি। কিন্তু তাতে ওঁরা রাজি হননি। আমি রওনা দিয়েছিলাম, কিন্তু ওঁরা কখনও বলছিলেন শাহদাবাদে আছেন, কখনও বলছিলেন খণ্ডোলিতে আছেন। আমাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল। দেড় ঘণ্টা পরে দীনেশের কাছে আমার ছেলের দেহ দেখতে পাই আমি।’’ ছাত্রের মা ওই স্কুলে বুলডোজ়ার চালানোর দাবিও জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy