পুজোয় মিশবে ইতিহাস। ছবি: সংগৃহীত।
পঞ্জিকা মতে এ বার দেবীর আগমন ঘোটকে। কিন্তু কলকাতার একটি পূজামণ্ডপে দেবী আসবেন নৌকায়। সে নৌকা আবার সবুজ-মেরুন সমর্থকদের প্রিয় নৌকায়।
মোহনবাগান ক্লাবের এখনকার স্থায়ী ঠিকানা কলকাতা ময়দান হলেও শুরুর দিনে বার বার বদলেছে ক্লাবের আস্তানা। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় ১৩৪ বছরের পুরনো এই ক্লাবের প্রথম মাঠ ছিল উত্তর কলকাতার বিখ্যাত মার্বেল প্যালেসের ভিতরে। ফড়িয়াপুকুরে কীর্তি মিত্রের মালিকানাধীন সেই বাড়ির নাম মোহনবাগান ভিলা। তবে সেই মাঠ খুব একটা বড় ছিল না। পরে ১৮৯১ সালে ক্লাবের ঠিকানা বদলে শ্যামপুকুর হয়ে যায়। মহারাজা দুর্গাচরণ লাহার সহায়তায় ক্লাব পায় শ্যামপুকুর মাঠ। সেটাও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। পরে তৃতীয় মাঠ হয় বাগবাজারের কাছে শ্যম স্কোয়ার। এর পরে ময়দান। শ্যাম স্কোয়ারে মোহনবাগান অবশ্য একার মাঠ পায়নি। সেই সময়ে কলকাতা পুরসভা ঠিক করে দেয় এরিয়ান এফসি এবং বাগবাজার ক্লাবের সঙ্গে ভাগাভাগি করে খেলবে মোহনবাগান।
সেই শ্যাম স্কোয়ারের পুজোর এ বার ৫০ বছর। আর তাতে থিম হয়েছে মোহনবাগান ক্লাব। মণ্ডপ তৈরি হয়েছে ক্লাব সমর্থকদের প্রিয় নৌকার অনুকরণে। তবে একেবারে নৌকা বলা ঠিক হবে না, বজরার চেহারা নিয়েছে মণ্ডপ। তবে মাথায় উড়বে সবুজ-মেরুন পতাকা। পুজো কমিটির সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, পুজো মণ্ডপের ভিতরেও ছবি-সহ বর্ণিত হবে মোহনবাগানের সাফল্যের ইতিহাস। তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রতিমায় কোনও থিম না রাখলেও মণ্ডপ সাজাচ্ছি মোহনবাগান ক্লাবের ইতিহাস দিয়ে। উদ্বোধনের দিনে প্রবীণ বাগান খেলোয়াড়েরা হাজির থাকবেন। পেলের দল কসমসের বিরুদ্ধে মাঠে নামা সুব্রত ভট্টাচার্য, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়রা।’’
তিনি আরও জানিয়েছেন, এখনকার ক্লাব সমর্থকেরা এই মণ্ডপে এলে জানতে পারবেন ক্লাবের অনেক ইতিহাস। ১৮৯৫ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত যে ক্লাবের এটাই মাঠ ছিল তা যেমন জানা যাবে তেমনই সামনের রাস্তার নাম ভূপেন্দ্রনাথ বোস রোড কেন, তা-ও জানতে পারবনে দর্শনার্থীরা। ভূপেন্দ্রনাথ ছিলেন মোহনবাগান ক্লাবের প্রথম সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy