প্রতীকী ছবি।
এ বার খাস প্রশাসনিক ভবনে চুরির ঘটনা ঘটল দেগঙ্গায়। সোমবার রাতে প্রশাসনিক ভবনে হানা দিয়ে জিনিস লন্ডভন্ড করে এবং লুটপাট করে চম্পট দেয় চোরের দল। এর আগে গত রবিবারই শিশুর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বড়সড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল এই দেগঙ্গাতেই। তার পরের দিন খোদ প্রশাসনিক দফতরেই চোর হানা দেওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়েরা।
কিছুদিন আগে দেগঙ্গার হাদিপুরে এক ব্যবসায়ী ও তাঁর মেয়েকে মারধর করে ডাকাতি হয়। রবিবার দেগঙ্গা থানার চাঁপাতলার গোঁসাইপুরে এক বিরিয়ানি কারিগরের বাড়িতেও ভয়াবহ ডাকাতি হয়। সেই ঘটনায় দেড় বছরের শিশু ও এক বালকের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে এবং মহিলাদের মারধর ও নিগ্রহ করে কান থেকে দুল ছিঁড়ে নেওয়া হয়। তার পরে বোমা ও গুলি ছুড়তে ছুড়তে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। এ ভাবে পরপর চুরি-ডাকাতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তার মধ্যেই ফের তালা ভেঙে চুরি হল বিডিও দফতরে।
পুলিশ জানিয়েছে, দেগঙ্গা বিডিও অফিস চত্বরের কয়েক বিঘা জমিতে খাদ্য দফতর, বিদ্যালয় পরিদর্শক ভবন এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন আধিকারিকের দফতর রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের কর্মীরা অফিসে এসে দেখেন, মূল গেট-সহ দোতলা বাড়িটির তিনটি ঘরের তালা ভাঙা। শঙ্কর চক্রবর্তী নামে ওই দফতরের এক কর্মী বলেন, ‘‘ঘরে ঢুকে দেখি, জিনিসপত্র সব লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে রয়েছে। সবক’টা আলমারি এমনকি লোহার সিন্দুকটা পর্যন্ত ভাঙা।’’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দফতরের এক আধিকারিক বিপ্লব দাশগুপ্ত পুলিশকে জানান, সিন্দুকে রাখা ৩০ হাজার টাকা এবং আধিকারিকের ল্যাপটপ-সহ প্রচুর জিনিসপত্র খোয়া গিয়েছে।
দেগঙ্গার ওই অফিস চত্বরে চারটি দফতর থাকলেও নৈশ প্রহরায় থাকেন মাত্র এক জন। সুফল শিকদার নামে ওই রক্ষী এ দিন বলেন, ‘‘ওই দফতরের ধারে কাছে আলো নেই। অন্ধকারের জন্য বুঝতে পারিনি কখন চুরি হয়েছে।’’ পাঁচিল ঘেরা প্রশাসনিক ভবনে কোন দিক দিয়ে কী ভাবে চোর ঢুকল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দফতরগুলির কর্মীদেরও জেরা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy