জল-উঁচু: প্রস্তুতি চূড়ান্ত। এই পথেই গঙ্গার নীচে ঢুকবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
গঙ্গাবক্ষের নীচে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শেষ হল। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান আর কে মিত্তল সোমবার ওই সুড়ঙ্গ পরিদর্শনে আসছেন কলকাতায়। সে দিন তিনি ওই সুড়ঙ্গের ভিতরে নেমে দেখবেন। সঙ্গে থাকবেন রেল ও কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশনের (কেএমআরসিএল) কর্তারাও।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ নিয়ে মামলা চলছে বহু দিন ধরে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের হস্তক্ষেপে প্রকল্পের জট কেটেছে। মামলার শুনানি চলাকালীন কেএমআরসিএল-এর পক্ষ থেকে বিচারপতি দত্তকে ওই সুড়ঙ্গ পরিদর্শন করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। বিচারপতি জানান, তিনিও সুড়ঙ্গ ঘুরে দেখতে চান। এ বার এক দিন যাবেন।
১০৪০ মিটারের ওই সুড়ঙ্গ কাটতে সময় লেগেছে ৬৬ দিন। সারা বিশ্বে নদীর (টেমস) নীচ দিয়ে একমাত্র সুড়ঙ্গটি ছিল লন্ডনে। কেএমআরসিএল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সতীশ কুমার জানান, এ বছরই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ফুলবাগান থেকে সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টর পর্যন্ত চালু করে দেওয়া যাবে। যদি সব কাজ পরিকল্পনা মতো চলে, তা হলে আরও দু’বছর পরে, অর্থাৎ ২০১৯ সালে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রস্তাবিত গোটা পথেই চালু হয়ে যাবে বলে কেএমআরসিএল-কর্তাদের আশা।
এ দিন কেএমআরসিএল-এর কর্তারা সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই কাজ করে ফেলা হয়েছে। গঙ্গার নীচে যে দু’টি সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে, তার একটির নাম ‘রচনা’, অন্যটির ‘প্রেরণা’। দু’টি সুড়ঙ্গের মধ্যে রচনার কাজ আগে শেষ হয়েছে। এক-একটি সুড়ঙ্গ ৫২০ মিটার লম্বা। গঙ্গার তলদেশের ৩০ মিটার নীচে সুড়ঙ্গ কাটার সময়ে বহু জিনিস উদ্ধার করেছেন কেএমআরসিএল-এর ইঞ্জিনিয়ারেরা। সেগুলির মধ্যে রয়েছে কামানের গোলা, ডুবে যাওয়া জাহাজের খোলের অংশ প্রভৃতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy