প্রতীকী ছবি।
কলকাতা শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে চালু হয়েছে স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা। শহরের প্রায় সর্বত্রই গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে। তবে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালে গাড়ির গতি অযথা কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন রাস্তায় লোক পাঠাচ্ছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে পরিচিতদের কাছ থেকেও তাঁদের অভিজ্ঞতা ও মতামত জানতে চাইছেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা।
পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই বিনীত গোয়েল ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শহরের রাস্তায় স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনেন। এতে কোন আলো কখন এবং কত ক্ষণ জ্বলবে, তা ঠিক করতে টাইমার বসানো থাকে। নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময় অনুযায়ীই সেটি চলে। তবে মিছিল বা সভা-সমাবেশ থাকলে কিংবা ভিভিআইপি-দের যাতায়াতের ক্ষেত্রে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা প্রয়োজন মতো সিগন্যাল ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমানে ট্র্যাফিক গার্ডগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে লালবাজারের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে গোটা স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, শহরের সিগন্যাল ব্যবস্থাকে এক সূত্রে বাঁধার জন্যই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। যাতে প্রতিটি সিগন্যালের মধ্যে সমন্বয় ও যোগসূত্র থাকে। এই ব্যবস্থায় একটি সিগন্যাল সবুজ পাওয়া গেলে পরবর্তী কয়েকটি সিগন্যালও সবুজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তার জন্য গাড়ির চাপের নিরিখে একটি দিনকে কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়ে সিগন্যালের সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
কিন্তু ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে লোক পাঠাচ্ছেন বা অন্যদের মতামত চাইছেন কেন?
লালবাজার সূত্রের খবর, শহরের রাস্তায় বিভিন্ন করিডর (পুলিশের পরিভাষায়) রয়েছে। এক-একটি করিডর দিয়ে এক-এক দিন পুলিশের কর্তারা নিজেদের গাড়ি পাঠাচ্ছেন। কোনও সিগন্যালে অযথা বেশি সময় ধরে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে কি না, তা দেখছেন তাঁরা। আবার এক-একটি করিডর পার করতে কত সময় লাগছে, তারও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি সিগন্যালের মধ্যে সমন্বয় রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্তাদের পাঠানো চালকেরা।
এক পুলিশকর্তার মতে, স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা জরুরি একটি বিষয়। তবে তা ঠিক মতো চালাতে গেলে সময়ের ভাগাভাগির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতিটি সিগন্যালের মধ্যে সমন্বয় আছে কি না এবং কোথাও অকারণে সময় নষ্ট হচ্ছে কি না, তা জানতেই এই খোঁজ নেওয়ার পর্ব চলছে। সব জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy