প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, আর্থিক সঙ্কটের জেরে সপরিবার আত্মহত্যা করেছেন। প্রতীকী ছবি।
শুধুই পারিবারিক অর্থনৈতিক সঙ্কট, না কি অন্য কোনও কারণ? রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় মা-বাবা ও মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পরেও এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এখনও তদন্তকারীরা চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছলেও গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আচমকা গার্ডেনরিচে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে কেন ওই তিন জন রিজেন্ট পার্ক এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করলেন, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
রবিবার রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পূর্ব পুঁটিয়ারির গঙ্গাপুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিজয় চট্টোপাধ্যায় (৫১), রাণু চট্টোপাধ্যায় (৪৬) এবং ঐন্দ্রিলা চট্টোপাধ্যায়ের (২১) ঝুলন্ত দেহ। তিনটি দেহেই পচন ধরতে শুরু করেছিল। তা দেখে তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত ছিলেন, কয়েক দিন আগেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার তিনটি দেহের ময়না তদন্ত করা হয়। তার প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, গার্ডেনরিচের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই অন্যত্র থাকছিলেন বিজয়। রিজেন্ট পার্কে ভাড়া আসার আগে কয়েক মাস তাঁরা ছিলেন বাটানগরে। বড়বাজারে সোনার কারবারের ব্যবসা থাকলেও বিজয় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছিলেন প্রোমোটিংয়ের ব্যবসায়। এর পরেই বাজারে কয়েক লক্ষ টাকা দেনা হয় তাঁর। সেই দেনার দায়ে মেয়ের কলেজের ফি-সহ বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুতের বিল বকেয়া থেকে গিয়েছিল। পাওনাদারদের চাপেই বিজয় পালিয়ে পালিয়ে থাকছিলেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, আর্থিক সঙ্কটের জেরে সপরিবার আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘পরিবারে যে আর্থিক সঙ্কট ছিল, তা নিশ্চিত। তবে কেন বিজয় হঠাৎ আলাদা থাকতে শুরু করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গোটাটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy